লকডাউনের জেরে যে টালমাটাল অবস্থা ছিল, আনলক ১-এ তার থেকে অর্থনীতির ক্রমশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
করোনাভাইরাস এবং লকডাউন পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ নিয়ে প্রথম দফায় ২১ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন মোদী। সেই বৈঠকে মোদী জানান, ইতিমধ্যে আনলক ১-এর দু'সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ফলে তা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যগুলির মোটামুটি ধারণাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তার ভিত্তিতে আগামিদনের কৌশল নির্ধারণ করা হবে।
একইসঙ্গে আগামীদিনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে বিধিনিষেধ আরও শিথিল হবে, সেই ইঙ্গিতও দেন মোদী। তিনি বলেন, 'আগামীদিনে যে যে রাজ্যগুলিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হবে, তারা যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবে, তার ফলে অন্য রাজ্যগুলিও লাভবান হবে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টার ফলে আমাদের অর্থব্যবস্থায় বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।'
কীভাবে সেই দাবি করছেন, সেই ব্যাখ্যাও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের ব্যবহার আগে কমেই যাচ্ছিল। এখন তার বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। গত বছর মে’র তুলনায় চলতি বছর দ্বিগুণ সার বিক্রি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় খারিফ (শস্যের) রোপণও ১২-১৩ শতাংশ বেশি হয়েছে। লকডাউনের আগে যত দু'চাকা গাড়ি উৎপাদন হত, এখন তার প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি হচ্ছে। খুচরো বাজারে ডিজিটাল পেমেন্টও লকডাউনের আগের মতো পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। শুধুু তাই নয়, মে'তে টোল সংগ্রহ বেড়েছে। যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধির লক্ষণ।'
অর্থনীতি যত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে, তত কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে জানান মোদী। তিনি বলেন, ‘আমরা যত করোনা রুখতে পারব, তত তার বিস্তার কমবে, আরও অর্থনীতি খুলবে, আমাদের অফিস খুলবে, পরিবহনের বিভিন্ন মাধ্যম চলবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’