কর্ণাটকের গদগ জেলায় সহকর্মী শিক্ষকের হামলার ঘটনায় মৃত্যু হল অতিথি শিক্ষিকার। গত ১৯ ডিসেম্বর ওই শিক্ষিকার সহকর্মী মুথাপ্পা ইয়েল্লাপ্পাকুরি বেলচা দিয়ে আক্রমণ করে অতিথি শিক্ষকা গীতা বারিকের। তাঁর ১০ বছরের সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি ওই শিক্ষকের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও তিনি সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি। তাকে দোতলার ছাদ থেকে ফেলে দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপরে গীতাকেও বেধড়ক মারধর করে। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল কেআইএমএস হাসপাতালে। সেই ঘটনার ৩ দিনের মাথায় মৃত্যু হল গীতার।
হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. রামালিঙ্গপ্পা অন্তরতানি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি মারা যান। অন্তরতানি বলেন, গীতাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। ৩ দিন পর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং সেরিব্রাল এডিমার কারণে তিনি মারা যান। তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষিকাকে ইনজেকশন সাপোর্ট দিয়ে তার রক্তচাপ স্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কারণ সেখানে অস্ত্রোপচারের কোনো সুযোগ ছিল না। মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়। তাঁর মৃতদেহ ময়নতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গীতা হাদালি গ্রামের আদর্শ প্রাইমারি স্কুলের অতিথি শিক্ষিকা ছিলেন। গত সোমবার হঠাৎই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক মুথাপ্পা। ওই স্কুলেই চতুর্থ শ্রেনির পড়ুয়া ছিল গীতার ছেলে। প্রথমে তাকে বেলচা দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করে মুথাপ্পা। এরপরেই তাঁকে স্কুলের দোতলার বারান্দা ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এদিকে, ছেলেকে বেধড়ক মারধরের খবর পেয়ে ছুটে যান ওই ছাত্রের মা গীতা। তিনি এবং আরও এক শিক্ষক মুথাপ্পাকে বাধা দিলে তাঁদের কেও মারধর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গীতাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান মুথাপ্পার সঙ্গে গীতার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তবে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে গীতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এই সন্দেহে তাঁর ছেলেকে খুন করে মুথাপ্পা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।