২৮ বছরের পুরনো মিথ্যে মাদক সংক্রান্ত মামলায় প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটকে দোষী সাব্যস্ত করল গুজরাটের আদালত। বুধবার গুজরাটের পালানপুর শহরের একটি বিশেষ এনডিপিএস আদাতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক জে এন ঠক্কর সঞ্জীব ভাটকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে বানাসকান্থা জেলার পুলিশ সুপার থাকাকালীন একজন আইনজীবীকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করবে আদালত।
আরও পড়ুনঃ এনকাউন্টার স্পেশালিস্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বম্বে হাইকোর্ট
সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?
আদালত সূত্রের খবর, বানাসকান্থার পালনপুরের একটি হোটেলে দেড় কেজি আফিম রেখে মিথ্যে মাদক মামলায় একজন আইনজীবীকে তিনি ফাঁসিয়েছিলেন। এ বিষয়ে আইনজীবী পালটা অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনায় সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরেই বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়।
এরপর মামলা ওঠে গুজরাট হাইকোর্টে। এফআইআর থেকে অব্যাহতি চেয়ে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রাক্তন আইপিএস। তবে এফআইআর বাতিল করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি প্রাক্তন আইপিএস সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গুজরাট দাঙ্গার একটি মামলায় প্রমাণ জালিয়াতির অভিযোগে এক সমাজ কর্মী এবং গুজরাটের প্রাক্তন ডিজিপি আর বি শ্রীকুমারের সঙ্গে অভিযুক্ত করা হয় সঞ্জীব ভাটকে। আদালতে এই সংক্রান্ত মামলা এখনও চলছে।
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করেছিলেন প্রাক্তন আইপিএস। এরপর সঞ্জীব ভাটের নাম খবরে আসে। যদিও পরে বিশেষ তদন্তকারী দল সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। এর পরে ২০১১ সালে সঞ্জীব ভাটকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এর পাশাপাশি আরও একটি অভিযোগ রয়েছে সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতে আগেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে প্রাক্তন আইপিএসের। ১৯৯০ সালে হেফাজতে থাকাকালীন এক বন্দির মৃত্যু মামলায় জামনগর আদালত ২০১৯ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। যদিও সঞ্জীব ভাটের স্ত্রী শ্বেতা ভাট জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী নির্দোষ। এই মামলাটি একেবারে ভুয়ো। এতে তাঁর স্বামীর কোনও ভূমিকা ছিল না।