গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিল নানাবতী কমিশন। আজ বিধানসভায় কমিশনের রিপোর্ট পেশ করে গুজরাত সরকার। সেই রিপোর্টে বলা হয়, দাঙ্গায় কোনও হাত ছিল না গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীর। পাশাপাশি, মোদীর তৎকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও ক্লিনচিট পেয়েছেন।
২০০২ সালে গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসের দুটি বগিতে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় ৫৯ জন করসেবকের। তারপরই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে গুজরাতে। দাঙ্গায় ১,০০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্তে সে বছরই দুই সদস্যের কমিশন গঠন করেন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী। কমিশনে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জি টি নানাবতী ও গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি অক্ষয় মেহতা। ২০১৪ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেলের কাছে রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। পাঁচ বছর পর আজ সেই রিপোর্টে পেশ করেছে সরকারয।
তিন হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়ানোর জন্য আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। ঘটনায় দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে সন্দেহের আঙুল তুলেছে কমিশন। তাঁরা হলেন – আইপিএস অফিসার আর বি শ্রীকুমার ও রাহুল শর্মা।দাঙ্গা ছড়ানোয় সাসপেন্ড আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটের ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের সুপারিশ করেছে কমিশন।।
এছাড়াও, কয়েকটি জায়গায় উন্মত্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। কী কারণে ব্যর্থ হয়েছিল, সেই সম্ভাবনার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশকর্মী না থাকা বা সঠিকভাবে সশস্ত্র ছিল না পুলিশ।