গুজরাটের কাছে 'হারতে' হয়েছিল মহারাষ্ট্রকে। আর এর জেরে প্রবল সমালোচিত হয়েছিল একনাথ শিন্ডের সরকার। এই আবহে এই গোট বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস। উল্লেখ্য, বিগত দিনে মহারাষ্ট্রে আসতে চলা বেশ কিছু বিনিয়োগ এবং শিল্প প্রকল্প গুজরাটে চলে গিয়েছিল। এই নিয়ে ফড়নবীস বললেন, 'আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য কি পাকিস্তান নাকি? এক রাজ্যের প্রকল্প অন্য রাজ্যে যেতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক।' ইন্ডিয়া গ্লোবাল ফোরামে বক্তব্। রাখার সময় ফড়নবীস বলেন, 'আমরা এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফেডারেলিজমে বাস করি। একসময়ে মাত্র ২ থেকে ৩টি রাজ্য বড় মাপের বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য ঝাঁপাত। এখন সেই সংখ্যাটা বেড়ে ১০ থেকে ১২ হয়ে গিয়েছে। এটা দেশের জন্যেই ভালো।' (আরও পড়ুন: বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিতে ৬৫ বেসিস পয়েন্টের 'লোকসান', এবার সেই ফারাক মেটাবে রাজ্য?)
আরও পড়ুন: সব শত্রুতা ভুলে জোট চর্চায় শাসক-বিরোধী! মোদী-নবীন রসায়নে খেলা ঘুরবে ওড়িশায়?
ফড়নবীস বলেন, 'একটা কোম্পানি যদি গুজরাট, কর্ণাট বা দিল্লিতে যায়... এটা তো আর পাকিস্তান নয়। এগুলি আমাদের দেশেরই রাজ্য। মহারাষ্ট্র সত্যি চায় যাতে সবাই এখানে এসে কাজ করুক। এখানে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে জটিলতা কম। ব্যবসা চালানোর খরচও কম।' এর আগে সেমিকন্ডাক্টার তৈরির একটি বিশাল প্রকল্প গুজরাটের কাছে হাতছাড়া হয়েছিল মহারাষ্ট্রের। এর জেরে বিরোধী তোপ দেগেছিল বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকারকে। সেই বিতর্কের জবাব দিতেই ফড়বীস পালটা বললেন, 'গুজরাট তো পাকিস্তান নয়।'
এদিকে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনের নেতৃত্বে একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রস স্টেট ডমেস্টিক প্রোডাক্ট ১ ট্রিলিয়ন ডলার করা হবে। এদিকে মহারাষ্ট্রকে দেশের 'স্টার্টআপ রাজধানী' আখ্যা দেন ফড়নবীস। তিনি দাবি করেন, ১ বিলিয়িনের বেশি বাজার মূল্যের ২৫টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ সংস্থার সদর দফতর রাজ্যে। এদিকে রাজ্যের পরিকাঠামোগ উন্নয়নের বিষয়ে বলতে গিয়ে ফড়বীস দাবি করেন, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন মুম্বইয়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন প্রকল্প চালু হয়েছিল। এদিকে নাগপুর আইআইআইটি-তে গুগলের সঙ্গে মিলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে গবেষণার জন্য সেন্টার অফ এক্সেলেন্স চালু করা হবে বলেও জানান ফড়নবীস।