আদালতের অনুমতি বলে কথা। সাত দিনের মধ্য়ে জ্ঞানবাপী মসজিদের একটা নির্দিষ্ট অংশে হিন্দুপক্ষের জন্য পুজো পাঠের ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিল আদালত। এনিয়ে প্রশাসনের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আর সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ পালনের জন্য জেলা প্রশাসন জ্ঞানবাপী মসজিদের দক্ষিণ দিকে ব্যসজীর তহখানাতে পুজোপাঠের উপযোগী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার ভোরবেলা পুজোপাঠ হয়েছে সেলারে। ভোর তিনটে নাগাদ তখনও আলো ভালো করে ফোটেনি। সেই সময় এক পুরোহিত পুজোর আয়োজন করেন সেলারে। সেই সময় আরতিও করা হয়। তার আগে জেলাশাসক এস রালালুঙ্গম ও পুলিশ কমিশনার রাত ১২টা থেকে মিটিং করেন। সেই মিটিং প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলে। কাশী বিশ্বনাথ ধামের একটা হলে এই মিটিং হয়। এরপর রাত তিনটে থেকে নির্দিষ্ট জায়গায়(আদালত নির্দিষ্ট করে দেওয়া স্থান) পুজোপাঠ, আরতি হয়।
মিটিংয়ের পরে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। তবে অঞ্জুমান ইতেজামিয়া মসজিদ কমিটির পক্ষে আখলাক আহমেদ জানিয়েছেন, ব্যাস পরিবার কখনওই পুজো করেননি বেসমেন্টে। সেলারে কোনও মূর্তি নেই। ওই বেসমেন্ট রয়েছে ব্যাস পরিবারের আওতায় এটা বলা ঠিক নয়। বেসমেন্ট অঞ্জুমান ইতেজামিয়া মসজিদ কমিটির আওতায় রয়েছে। (ইনপুট HT)
কার্যত বার বার এই দাবি করা হয়েছিল যে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভেতরে নির্দিষ্ট অংশে পুজোর আধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অবশেষে সেখানে পুজোর অনুমতি দিয়েছে আদালত। ঠিক কী জানিয়েছিল আদালত?
আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, পুজোপাঠ করা, ভোগ দেওয়া, বেসমেন্টে যে মূর্তি রয়েছে সেটা যথাযথ রাখতে হবে ও লোহার বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এগুলি সাতদিনের মধ্য়ে করতে হবে। জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্য়বস্থা করার জন্য় বলা হয়েছিল। কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্ট বোর্ডের পুরোহিতের বিষয়গুলি দেখাশোনা করতে পারবেন। সব মিলিয়ে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বিরাট মোড় এসেছিল বুধবার। আর বৃহস্পতিবারই সেখানে পুজোপাঠ হয়ে গেল।
এদিকে সম্প্রতি অ্য়াডভোকেট বিষ্ণু শংকর জৈন ( তিনি হিন্দু পক্ষের হয়ে লড়ছেন) জানিয়েছিলেন, বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরির আগে সেখানে বিরাট হিন্দু মন্দির ছিল। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট দেখিয়ে তিনি এই দাবি করেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, এএসআই রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, মসজিদ তৈরির জন্য় মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে সমস্ত সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে তা সবটা তথ্য় হিসাবে রাখা হয়েছে। মূল কাঠামোর কোনও ক্ষতি হয়নি। বিজ্ঞানসম্মত পরীক্ষার মাধ্য়মে দেখা গিয়েছে আগের কাঠামোতে যে পিলার ছিল তার উপর বর্তমান পিলারগুলি করা হয়েছে। এমনকী আগের কাঠামোটা এখনও থেকে গিয়েছে।
তবে এবার সেই মসজিদের নির্দিষ্ট অংশে হল পুজোপাঠ আরতি।