জ্ঞানবাপী মসজিদকে ঘিরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথের মন্তব্যকে ঘিরে গোটা দেশ জুড়ে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এনিয়ে সোমবার কার্যত মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেশজুড়ে। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠন এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বিরোধীদের দাবি, ২০২৪ সালের ভোটের দিকে তাকিয়ে এসব বলা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, জ্ঞানবাপীতে ত্রিশূল এল কীভাবে? মুসলিম সমাজ মেনে নিন ওটা তাঁদের ঐতিহাসিক ভুল। এবার জেনে নিন এনিয়ে কারা কোন প্রতিক্রিয়া দিলেন?
বিষ্ণুশঙ্কর জৈন
এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এটা মামলার বিষয়বস্তু হতে পারে। আসলে জ্ঞানবাপী মামলায় হিন্দুদের পক্ষে লড়াই করছেন বিষ্ণুশঙ্কর জৈন।
স্বামী জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী
'জ্ঞানবাপীকে নিয়ে যে মন্তব্য মুখ্য়মন্ত্রী করেছেন তাকে সাদরে গ্রহণ করছেন সন্ত সমাজ। জ্ঞান আর বাপী দুটো শব্দ উর্দু বা পার্সি নয়। জ্ঞানের সঙ্গে বাপী( উত্তম) এটাই বলে দিচ্ছে ওটা মসজিদ নয়। ওটা মন্দির। মুসলিম সমাজের উচিত আলোচনার মাধ্যমে ওটা হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া।' তিনি অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
মোহন্ত হরি গিরি
'মুসলিম সমাজ যদি আদিত্যনাথের কথা মেনে নেন তবে সব বিতর্কের অবসান হবে। এতে হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে সম্প্রীতি আরও বাড়বে।' তিনি অখিল ভারতীয় অখণ্ড পরিষদের সম্পাদক।
এসএম ইয়াসিন
তিনি অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। আমি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। জানিয়েছেন তিনি।
কোয়াসিম রসুল ইলিয়াস
তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের মুখপাত্র। তিনি জানিয়েছেন, ‘যোগী আদিত্যনাথ বাবরি মসজিদের মতো বিষয়টিকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছেন।’
ব্রিজলাল খবরি
তিনি ইউপি কংগ্রেস কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের আগে বিজেপি আবার নয়া কৌশল হাজির করছে। আবার এনিয়ে সাম্প্রদায়িক গণ্ডগোল বাঁধানোর চেষ্টা করবে বিজেপি।’
স্বামী প্রসাদ মৌর্য
তিনি সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানিয়েছেন, ‘জ্ঞানবাপী একটি মসজিদ। সেকারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। এটা মন্দির হলে আদালতে যেত না। আদালত না বলা পর্যন্ত এটা মসজিদই থাকবে। ’
রাকেশ ত্রিপাঠি
তিনি ইউপি বিজেপির মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য়মন্ত্রী যেটা জানিয়েছেন তার পেছনে নির্দিষ্ট ভিত্তি রয়েছে। ’