সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামীপ্রসাদ মৌর্য। এর আগেও নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে তিনি বিতর্ক উসকে দিয়েছেন। ফের হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তিনি। এবার তিনি বলেন, হিন্দু এক ধোঁকা হ্যায়। হিন্দু ধর্ম পুরোটাই ধোঁকাবাজি। হিন্দু কোনও ধর্ম নয়, এটা একটা প্রতারণা, কিছু লোকের করে খাওয়ার জায়গা হল এটা। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কিছু মন্তব্যকে তুলে ধরেন তিনি। সেই সঙ্গেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ও প্রধানমন্ত্রী মোহন ভাগবতের প্রসঙ্গও তিনি টানেন।
জাতীয় বৌদ্ধ ও বহুজন অধিকার রক্ষা কনফারেন্স সোমবার নিউদিল্লিতে হয়েছিল। সেখানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, হিন্দু এক ধোঁকা হ্যায়। ১৯৫৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে বলেছিল, হিন্দু কোনও ধর্ম নয়, এটা একটা জীবনধারণের পথ। ২০০টি ধর্মের একটা সমণ্বয়। এমনকী মোহন ভাগবতও বলেছিলেন, হিন্দু কোনও ধর্ম নয়, এটা হল জীবনধারণের পথ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই কথা বলেছিলেন। এমনকী একটি মিডিয়া কনক্লেভে গদকড়িও এই একই কথা বলেছিলেন।
তিনি বলেন, অন্যরা বললে কিছু হয় না। কিন্তু স্বামী প্রসাদ মৌর্য বললেই যত বিতর্ক। হিন্দু কোনও ধর্ম নয়, এটা বিশ্বাসঘাতকতা। এটা কিছু লোকের ব্যবসার জায়গা। যখন সুপ্রিম কোর্ট ১৯৫৫ সালে একই কথা বলল তখন কিছু হল না। কিন্তু যখন স্বামী প্রসাদ মৌর্য বলছে তখনই নানা কথা বলা হচ্ছে। তখন এফআইআর হচ্ছে। ভারতের সংবিধান যা বলছে সেটাই আমি বলছি।
তাঁর মতে, হিন্দুদের মধ্য়ে যারা উঁচু জাত তারা বহুজন ভোট ব্যাঙ্ককে ব্যবহার করেছে। ক্ষমতায় ফেরার জন্য় এসব করেছে তারা। কিন্তু এসব করার পরে তারা সংরক্ষণটা বাতিল করে দিয়েছে।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি বিতর্ক ছড়িয়েছিলেন।
এর আগে অগস্ট মাসে তিনি টুইটারে( বর্তমানে এক্স) একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। তাঁর মতে, ব্রাহ্মণ্যধর্মের শিকড় বেশ গভীরে। তবে হিন্দু বলে কোনও ধর্ম নেই। হিন্দুধর্মের পুরোটাই ভাঁওতা। আসলে দলিত, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের ফাঁদে ফেলার জন্য একটা ষড়যন্ত্র। ব্রাহ্মণ্য ধর্মকে হিন্দু ধর্ম বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। যদি হিন্দু ধর্ম বলে কিছু থাকত তবে আদিবাসীদের সম্মান করা হত, দলিতদের সম্মান করা হত, পিছিয়ে পড়া মানুষদের সম্মান করা হত। কিন্তু কী একটা রসিকতা করা হল…