এবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বার্তা পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, গরিব বন্দিদের এবার মামলায় সহায়তা করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্র। যাতে অর্থের অভাবে জামিন এবং নিজের পক্ষে আইনজীবী দিয়ে সওয়াল করার ক্ষেত্রে অসুবিধায় না পড়ে জেলে থাকা বন্দিরা। অনেকেই অর্থের অভাবে জামিন নিতে পারেন না। তার ফলে জেলেই থেকে যেতে হয়। এই কাজ করার জন্য প্রত্যেক রাজ্যকে ২০ কোটি টাকা বছরে বরাদ্দ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই প্রত্যেক রাজ্যকে এই টাকা পেতে একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। যেখানে এসে পড়বে সেই টাকা।
এদিকে এই বার্তা রাজ্যগুলির কাছে পৌঁছতেই তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে যে বার্তা এসেছে সেটি হল—‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বছরে ২০ কোটি টাকা দেবে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। যা এই আর্থিক সহায়তা গরিব বন্দিদের কাজে লাগানো হয় এবং তাঁরা জেল থেকে বেরতে পারেন।’ এমন অনেক বন্দিই আছেন যাঁদের জেলের সাজা খাটার মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং আরও কিছু হবে। তাঁদের এই অর্থের সাহায্য মুক্তি মিলতে পারে। কারণ জামিন নিতে গেলে টাকা লাগে। আইনি লড়াই জারি রাখতে গেলে আদালতে অর্থের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেটাই এই বরাদ্দ হওয়া টাকা থেকে মিলবে।
অন্যদিকে এই অর্থ পেতে গেলে একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে রাজ্য সরকারকে। আর এই বিষয়ে কোন কোন পদক্ষেপ করছে রাজ্য সেটা জানিয়ে দিতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এই বন্দিদের আর্থিক সহায়তা করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারগুলিকে। একই নির্দেশ গিয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও। নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে এই টাকা বন্দিদের উদ্দেশে খরচ করতে হবে। তবে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই কাজের ক্ষেত্রে একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। এই নোডাল অফিসাররা যুক্ত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অথবা কেন্দ্রীয় নোডাল এজেন্সি তথা ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর সঙ্গে। সেখান থেকে যাবতীয় গাইডলাইন নিয়ে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আবার বাতিল অমিত শাহের সফর, লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ–বিজেপির অক্সিজেনে ঘাটতি
এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছে তার সঙ্গে এনসিআরবি যুক্ত থাকবে। সেক্ষেত্রে কত টাকা এল এবং কত টাকা কোন খাতে খরচ হল সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় বরাদ্দের সব টাকাটাই এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আসবে। এই বার্তা পাওয়ার পর রাজ্যগুলির পক্ষ থেকেও জবাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। সহায়তা চাওয়া হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এবং বন্দি কর্তৃপক্ষের থেকে। তাঁরা যে পরীক্ষা করে উপযুক্ত বন্দির তালিকা তৈরি করে এবং কত টাকা বরাদ্দ করা হবে সেটা জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এটাও গাইডলাইনে রাখতে বলা হয়েছে।