এখন ইপিএফও অ্যাকাউন্টে পোর্টাবিলিটির ফিচার এসেছে। কিন্তু আগে সেই সুবিধা ছিল না। ফলে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা চাকরি বদল করলে নতুন স্থানে গিয়ে নতুন ইপিএফও করতেন।
এর ফলে অনেকেরই আগের স্থগিত (ডরম্যান্ট) ইপিএফও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা জানেনই না যে আগের সংস্থায় তাঁদের নামে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
গত ২০১১ সালে ইপিএফ সংক্রান্ত নিয়মাবলীতে পরিবর্তন হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শেষ কনট্রিবিউশনের পর ৩ বছর পেরিয়ে গেলে অ্যাকাউন্টটি 'ডরম্যান্ট' হিসাবে গণ্য করা হবে। অর্থাত্ তাতে আর কোনও সুদ মিলবে না। প্রায় ৭ বছর ডরম্যান্ট থাকলে এই অ্যাকাউন্টের টাকা সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার ফান্ডে ট্রান্সফার করা হবে।
তবে চিন্তা নেই। সেই টাকা আপনি সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে ফেরতের ক্রেইম করতে পারবেন। সেখানে টাকাটা ট্রান্সফার হওয়ার ২৫ বছরের মধ্যে তা করতে হবে। খালি প্রয়োজন কিছু নথি ও প্রমাণ।
কী করে ডরম্যান্ট ইপিএফ অ্যাকাউন্টের টাকা ক্লেইম করবেন?
ইপিএফও-র অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই এই টাকা ক্লেইম করা যাবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে হেল্প ডেস্কে যেতে হবে। সেখানে ইপিএফও অ্যাকাউন্টটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিতে হবে। সেই সঙ্গে KYC ডিটেইলস, যেমন আধার নম্বর, প্যান নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং IFSC কোড দিতে হবে।
এটি এরপর EPFO-র স্টাফদের দ্বারা যাচাই করা হবে। সেটি হলেই আপনি টাকা ফেরত পাবেন। মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাঁর নমিনিরাও এই টাকার ক্লেইম করতে পারবেন।