এপার বাংলায় ইলিশ মাছের আকাল দেখা গিয়েছে। কিন্তু ওপার বাংলার জন্য যেন নিজের ঝাঁপি উজাড় করে দিল রূপোলি শস্য। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কক্সবাজার উপকূলের কাছে রবিবার একসঙ্গে প্রায় ৭,৫০০ ইলিশ ধরা পড়েছে। অর্থাৎ একবার জাল ফেলেই প্রায় ৭,৫০০ ইলিশ উঠেছে। যা উপকূলে নিয়ে এসে বিক্রি করে ৫২ লাখ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) ঘরে তুলেছেন এক ট্রলারের মালিক। তবে এটা একেবারেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং গত সপ্তাহে কক্সবাজার থেকে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। সবমিলিয়ে গত সাতদিনে (রবিবার পর্যন্ত) কক্সবাজার থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ২,১০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য বিভাগের আধিকারিকরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইলিশ ধরতে দিনসাতেক আগে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দিয়েছিল কক্সবাজারের পেশকারপাড়ার এক ব্যক্তির ট্রলার। ছিলেন ২১ জন জেলে। তাঁদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, কক্সবাজার উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলেন তাঁরা। সেখানে জালের একটানেই প্রায় ৭,৫০০টি ইলিশ মাছ উঠে আসে। সেই ইলিশ মাছ নিয়ে তাঁরা উপকূলে ফিরে আসেন। তারপর ফিশারিঘাটে ইলিশ মাছ বিক্রি করা হয়। আর প্রায় ৭,৫০০ ইলিশ মাছ বিক্রি করে ট্রলার মালিকের প্রায় ৫২ লাখ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) আয় হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Ilish mach in Kolkata: বাঙালিকে ধোঁকা দিচ্ছে ‘বহিরাগত’ গুজরাটের ইলিশ! সস্তায় মিললেও নেই কোনও স্বাদ
কত টাকায় বিকোচ্ছে ইলিশ মাছ?
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার ফিশারিঘাটে যে ইলিশগুলি এসেছিল, সেগুলির ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে দেড় কিলোগ্রামের মধ্যে ছিল। পাইকারি বাজারে এক কিলোগ্রাম ইলিশ বিকোচ্ছিল ৮৫০ টাকা। ৮০০ গ্রামের ইলিশ কিনতে খরচ পড়ছিল ৬৫০ টাকার মতো। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে কক্সবাজারের। যত জোগান বাড়বে, দাম তত কমবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, চকরিয়া, মহেশখালি-সহ বিভিন্ন মৎস্য বাজার থেকে দিনে প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইলিশ যাচ্ছে।