রমেশ বাবু
কন্নুর- তিরুবনন্তপুরম ইন্ডিগো ফ্লাইট। ১২ জুন ওই বিমানের মধ্যেই তুমুল বাকবিতন্ডার অভিযোগ। ইন্ডিগোর বিমানের যাত্রী ছিলেন তিনজনই। একদিকে ছিলেন কেরলের প্রবীন সিপিএম নেতা ই পি জয়রাজন। অন্যদিকে যুব কংগ্রেসের দুই নেতা। বিমানের কেবিন ক্রুরা ওই দুই যুবককে শান্ত করার নানা চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা সেসব কথা কানে তুলতে চাননি বলে অভিযোগ। কেরলের মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তাঁরা স্লোগান তোলা শুরু করেন বলে অভিযোগ। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে ইন্ডিগো জয়রাজনকে তিন সপ্তাহের জন্য ওই সংস্থার বিমানে ওঠা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অন্য দুই যুব কংগ্রেসের নেতাকে দু সপ্তাহের জন্য় ব্যান করা হয়েছে।
বিমান সংস্থার এই সিদ্ধান্তে রেগে লাল জয়রাজন। তিনি জানিয়েছেন, আমাকে অপমান করা হল। আমি তিন সপ্তাহ নয়, সারা জীবন ওদের বিমানে চাপব না।মুখ্য়মন্ত্রীকে অপমান করা আটকানোর জন্য় আমাকে প্রশংসা করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা না করে আমাকে শাস্তি দিয়েছে। আমি বিমান সংস্থার কাছে এটা প্রত্যাশা করিনি।
দুই যুব কংগ্রেস কর্মী ফরজিন মাজিদ ও নবীন কুমার জানিয়েছেন, আমরা খুব খুশি। আসব সত্যি বেরিয়ে এসেছে। আমরা জয়রাজনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাব। আমরা শুধু স্লোগান দিয়েছিলাম। সেকারণে মুখ্য়মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের উপর চড়াও হয়েছিল।
সিপিএমের দাবি, সন্ত্রাসবাদীদের মতো কাজ করেছে ওরা। কংগ্রেসের দাবি ওটা প্রতীকী প্রতিবাদ ছিল।