'স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় থাকব? কখনও ভাবতে পারিনি। মনে হচ্ছে যে জীবনের সব স্বপ্নপূরণ হয়ে গেল।' এই ১৫টি শব্দ কারও কাছে নেহাতই শব্দ হতে পারে। কিন্তু মহারাষ্ট্রের গ্রামে চাষ করে জীবন কাটিয়ে দেওয়া এক চাষির কাছে ওই ১৫টি শব্দ সম্ভবত জীবনের সবথেকে বড় প্রাপ্তি। আর মহারাষ্ট্রের সেই চাষির মতো দেশের আরও অনেক মানুষ সেই স্বর্গীয় অনুভূতি লাভ করতে চলেছেন। কারণ এবার লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নার্স, চাষিরা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন, সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে মোট ১,৮০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই তালিকায় আক্ষরিক অর্থেই দেশের সাধারণ মানুষ আছেন। সরকারের 'জন ভাগীদারি কর্মসূচি'-র সামঞ্জস্য রেখে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে স্বাধীনতা দিবসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যে তালিকায় আছেন শিক্ষক, মৎস্যজীবী, শ্রমিক, খাদি শিল্পীরাও।
আরও পড়ুন: Independence Day Speech: স্কুলে স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু বলতে হবে? এই পয়েন্টগুলি অবশ্যই মাথায় রাখুন
স্বাধীনতা দিবসে ৫০ নার্সকে আমন্ত্রণ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এবার লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ৫০ জন নার্সকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যে তালিকায় আছেন হরিয়ানার ফরিদাবাদের বাদশা খান সিভিল হসপিটালের ব্লাডব্যাঙ্কের নার্সিং অফিসার সবিতা রানিও।
আরও পড়ুন: Singapore part of Bengal province: আজ সিঙ্গাপুরের জন্মদিন, জানেন কি এক সময় এই দেশ ছিল বাংলার অংশ?
করোনাভাইরাস সংকটের সময় যে সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন, সেজন্য সবিতাকে পুরস্কৃত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সবিতা বলেন, ‘এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে হাতেগোনা কয়েকজনের মধ্যে আমার নাম আছে।’ সঙ্গে তিনি জানান, এরকম সম্মান পেলে কাজের প্রতি উৎসাহ আরও বৃদ্ধি পায়। অপর এক নার্সিন অফিসার জাভেদ মহম্মদ বলেন, ‘চিকিৎসার মস্তিষ্ক হলেন চিকিৎসকরা। আর হৃৎপিণ্ড হলেন নার্সরা। হৃদয় থেকে কাজ করেন নার্সরা। স্বাধীনতার এত বছর পরে নার্সদের এরকমভাবে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে দেখে অত্যন্ত ভালো লাগছে।’
লালকেল্লায় থাকবেন কৃষকরা
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় হাজির থাকবেন প্রায় ৫০ জন কৃষক। যাঁরা প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির উপভোক্তা। সেই তালিকায় আছেন মহারাষ্ট্রের দু'জন কৃষকও। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন পুণে জেলার অশোক সুদাম ঘুলে (৫৪)। তিনি বলেন, ‘আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি যে নয়াদিল্লির লালকেল্লায় যেতে পারব। স্বাধীনতা দিবসে সেখানে থাকতে পারব জানার পর থেকে মনে হচ্ছে যে স্বপ্নপূরণ হয়ে গেল।’