ভারত আর চিনে ক্রমশ উত্থান হচ্ছে। দুই দেশ নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দুই দেশের মধ্য়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত চাইছে কূটনৈতিক পরিস্থিতির মাধ্য়মে যাতে একটা ভারসাম্য রক্ষা করা যায় সেটা ভারত সবসময় চেষ্টা করে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন,.. কিন্তু ২০২০ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছিল চিনের সেনাদের তরফে। টিভি ৯ নেটওয়ার্কের একটি মিডিয়া সামিটে অংশ নিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। বিশ্বের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য়েও ভারত ও চিনের মতো দুটি শক্তির উত্থানকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, গত ২০-২৫ বছর ধরে যদি আপনি তিনটি অথবা চারটি বড় বিষয়কে তালিকাভুক্ত করতে বলেন আমি মনে করি বেশিরভাগ মানুষই বলবেন ভারত আর চিনের এই উত্থান।
আপনারা বলতে পারেন চিন আগে এই উন্নতির কাজটা শুরু করেছিল কারণ আমাদের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই সংস্কারের পথে হাঁটছিল না। দেরি করে ফেলছিল। এটা ভালো। যেটা হয়ে গিয়েছে সেটা হয়ে গিয়েছে। যা গেছে তা গেছে। এটা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই যে দুটি দেশেরই উত্থান হচ্ছে। আর বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতির নিরিখে একটা আশ্চর্যজনক সমস্যা উঠে আসছে।
তিনি জানিয়েছেন, তাদের এই উত্থানের জেরে বিশ্বের পরিস্থিতিরও বদল হচ্ছে। এই দুই দেশ বিশ্বের পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলে। তাদের সম্পর্কেও পরিবর্তনও হয়।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটা ভারসাম্য় রক্ষার ক্ষেত্রে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক নয় এমন সামিটকে ঘিরে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে চিনের ইউহান প্রদেশে ও ২০১৯ সালে মামাল্লাপুরমে এটা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়।
বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমরা এই ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেকারণেই আপনারা ইউহান ও মামাল্লাপুরমের মতো ঘটনা দেখতে পান। তবে ২০২০ সালে সীমান্তে যা হয়েছিল, সেটা এই ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে একটা অন্যরকম জবাব ছিল।