ক্ষতির বোঝা লাঘব করতে কি বড়সড় ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে রেল? জাতীয় পরিবহনের নয়া নির্দেশিকার পর সেই শঙ্কাই বাড়ছিল । তবে শুক্রবার রেলের তরফে জানানো হল, কারোর চাকরি যাবে না, শুধুমাত্র কাজের ধরন (জব প্রোফাইল) পালটে যেতে পারে।
ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে রেলওয়ে বোর্ডের ডিরেক্টর জেনারেল (মানবসম্পদ) আনন্দ এস খাতি বলেন, 'কর্মী বহরকে উপযুক্ত করবে রেল, ছোটো করবে না'। একইসঙ্গে তিনি জানান, প্রযুক্তিগত কারণে কয়েকটি চাকরির ধাঁচ পরিবর্তিত হতে পারে। রেলকর্মীদের নতুন করে দক্ষ করা হবে। তবে কোনও চাকরি যাবে না। তিনি বলেন, 'আমরা (কর্মীদের) উপযুক্ত করব, ছোটো নয়। একটা বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ রাখবেন না যে দেশের সবথেকে বড় চাকরিদাতা থাকবে রেল। আমরা অদক্ষ কাজ থেকে আরও দক্ষ কাজের পথে হাঁটব।'
গত ১৯ জুন রেলের আর্থিক কমিশনার জানিয়েছিলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে রেলের আয় ৫৮ শতাংশ কমেছে। একইসঙ্গে রেলের প্রতিটি জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের বার্তা দেওয়া হয়েছিল, খরচে লাগাম টেনে আয় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এমনিতেই কর্মীদের বেতন এবং পেনশন খাতেই রেলের আয়ের ৬৫ শতাংশ বেরিয়ে যায়। সেই খাতে খরচ কমানোর জন্য রেলকর্মীদের ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি শূন্যপদের সংখ্যা কমানো হবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
তারইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার প্রতিটি জোনের জেনারেল ম্যানেজারকে পাঠানো চিঠিতে রেলের তরফে জানানো হয়, নয়া পদ তৈরি বন্ধ করা হবে, গত দু'বছরে যে পদ তৈরি হয়েছে, তার পর্যালোচনা করা হবে এবং আপাতত যে শূন্যপদ রয়েছে, তার ৫০ শতাংশ বাতিল করা হবে। আর্থিক কমিশনারের অনুমোদিত সেই চিঠিতে জানানো হয়, আর্থিক দিক দিয়ে বিবেচনা করে এবং খরচ কমানোর জন্য নয়া অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় সেই পদক্ষেপগুলি করা হবে।
সেই নির্দেশিকা ঘিরে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছিল, তাতে শুধুমাত্র অকার্যকরী এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত নয় (নন-সেফটি) পদগুলি বাতিলের বিষয়ে বলা হয়েছিল বলে জানান ওই রেল কর্তা। উলটে রেলের যে পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলি চলছে, তাতে বাড়তি সেফটি পদ তৈরি হবে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দেন, বিভিন্ন পদের জন্য যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, তাও স্বাভাবিকভাবেই চলবে। সেগুলির উপর রেলের নয়া নির্দেশিকার প্রভাব পড়বে না।