মে-জুন মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উর্ধ্বসীমার উপরে ছিল মুদ্রাস্ফীতির সূচক। তবে, দ্বিতীয় ওয়েভ স্তিমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিছুটা ঠান্ডা হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। আর তার ফলেই এবার সামান্য কমল কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স। জুলাই মাসে সিপিআই দাঁড়াল ৫.৬% ।
ব্লুমবার্গে প্রকাশিত ৩৯ জন অর্থনীতিবিদের নির্ধারিত প্রত্যাশিত সিপিআই ৫.৭% । অর্থাত্ তার থেকেও কমে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতির সূচক।
তবে, এখনও করোনা পূর্ববর্তী স্তরে ফেরেনি শিল্প উত্পাদন। ন্যাশানাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিসের প্রকাশিত ইনডাস্ট্রিয়াল ইন্ডেক্সের সূচক এমনটাই জানাচ্ছে। জুন মাসের গণনা অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে মহামারীর আগের পরিস্থিতিতে ফিরতে পারেনি শিল্পক্ষেত্র। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভকেই এর জন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মুদ্রাস্ফীতির বর্তমান পরিসংখ্যান স্বস্তিদায়ক হতে পারে। তবে এখনই নিশ্চিন্ত হতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। অধিকাংশের মতে, জ্বালানির অত্যাধিক দাম এবং উত্পাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
তবে জুলাই মাসের পরিসংখ্যান নিয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের প্রভাব যে প্রথম ওয়েভের তুলনায় কম পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। ফলে অর্থনৈতির পুনরোদ্ধারের চাকায় গতি আসছে বলে জানিয়েছে সরকার।