1/6 আমেরিকায় উপভোক্তা সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে এই বেবি পাউডার নিয়ে। এই আবহে বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জনসন অ্যান্ড জনসন। তবে বিক্রি বন্ধের আগেই মহারাষ্ট্র সরকার নির্দেশিকা জারি করে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার উৎপাদন বন্ধ করল। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে বিক্রিও করা যাবে না এই পাউডার।
2/6 এর আগে ২০২০ সালেই আমেরিকা ও কানাডায় এই পাউডার বিক্রি বন্ধ করেছিল সংস্থাটি। অভিযোগ ওঠে, এই পাউডারের মধ্যে মিলেছে ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টস। এটিকে ক্যানসারের কারণ হিসেবে ধরা হয়। এই আবহে প্রায় ৩৫ হাজার জন সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল আমেরিকায়।
3/6 এরই মাঝে মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের মান ব্যবহারযোগ্য নয়। পুনে এবং নাসিক থেকে এই বেবি পাউডারের নমুনা সংগ্র করে তা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে পাউডারের পিএইচ মান গ্রহণযোগ্য নয়। আর তাই মহারাষ্ট্রে এই পাউডার নিষিদ্ধ করা হল।
4/6 এর আগে জানা গিয়েছিল, জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে সিলিকন জাতীয় মিনারেল রয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পাউডার বিক্রিতে ধস নামে বিশ্ব জুড়ে। চাহিদা কমে যায় এই পণ্যেক। এই আবহে মার্কিন আদালতের তরফে ১৫ হাজার কোটি টাকার জরিমানা দিতে বলা হয় জনসন অ্যান্ড জনসনকে।
5/6 ১৮৮৬ সাল থেকে শিশুদের জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট বাজারে এনেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। ট্যালক ভিত্তিক বেবি পাউডার নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে সংস্থার তরফে সব অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করা হয়, এর কারণে ক্যানসার হয় না। তবে শেষ পর্যন্ত আমেরিকায় আইনি লড়াইতে হেরে যায় সংস্থা। আর এবার মহারাষ্ট্রে এই পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। পাশাপাশি সংস্থাকে শোকজ নোটিশও জারি করেছে সরকার।
6/6 জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র সরকারের প্রাথমিক রিপোর্টটি গ্রহণ করেনি জনসন অ্যান্ড জনসন। আদালতে সরকারের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে পাউডার পরীক্ষার জন্য কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই মতো কলকাতার ল্যাবে ফের পরীক্ষা হয়েছিল জনসন বেবি পাউডারের নমুনার। সেই পরীক্ষায় দেখা যায়, মহারাষ্ট্র এফডিএ-র দাবি সঠিক। : ছবি (সৌজন্য রয়টার্স)