মধ্য়প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমল নাথ বিজেপিতে যাচ্ছেন বলে জোর জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কমল নাথ বিজেপিতে যোগ দেননি। কিন্তু এনিয়ে কমল নাথ নিজে কী বলছেন? তিনি জানিয়েছেন, আপনারা কি আমার মুখ থেকে কোনওদিন এসব শুনেছেন? কোনদিন কি আপনি কোনও ইঙ্গিত শুনেছেন আমার মুখ থেকে? কিচ্ছু না…
মধ্য়প্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলায় সংবাদমাধ্যমের সামনে একথা জানিয়েছেন কমল নাথ। আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তিনি দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবেন। তাঁকে সংবাদ মাধ্য়ম প্রশ্ন করেছিল তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি তখন বলেন, আপনারা এটা বলছেন। কিন্তু আর কেউ তো বলছেন না। আমার মুখ থেকে কোনওদিন কিছু শুনেছেন? কোনও ইঙ্গিত পেয়েছেন? কিছু নেই। আপনার খবর করে দিলেন। আর এরপর আমায় প্রশ্ন করলেন।
এদিকে সম্প্রতি প্রবল শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। তার জেরে প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়। সেই ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে দাবি তোলেন কমল নাথ। অন্যদিকে বিজেপি সরকারকেও একহাত নেন তিনি। অন্যদিকে আগামী লোকসভা ভোটে প্রার্থী সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে তিনি বলেন, আলোচনা চলছে। প্রার্থীদের নাম শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।
এদিকে সম্প্রতি কমল নাথের দলবদল নিয়ে প্রবল জল্পনা ছড়িয়েছিল। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, তিনি নাকি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তবে এই সব জল্পনা-কল্পনার মাঝেই কমল নাথের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সজ্জন সিং বর্মা দাবি করেছিলেন, কমল নাথ কোনও ভাবেই বিজেপিতে যাবেন না। এমনতী সজ্জন এও দাবি করেন, আসন্ন লোকসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস প্রার্থী বাছাইয়ের ওপরে নজর রয়েছে কমল নাথের।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, 'আমি যখন কমল নাথের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করলাম, তখন তিনি বেশ কিছু চার্ট নিয়ে বসে কাজ করছিলেন। মধ্যপ্রদেশের ২৯টি লোকসভা আসনের জাতপাতের অঙ্ক কষছিলেন।' সজ্জন দাবি করেন, কমল নাথ নাকি তাঁকে বলেছেন, 'আমার গান্ধী-নেহরু পরিবারের সঙ্গে খুব গভীর সম্পর্ক। এতে রাজনৈতিক অঙ্ক নেই, এই সম্পর্ক পারিবারিক।'
এদিকে কমল নাথের পুত্র সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বায়ো থেকে 'কংগ্রেস' শব্দটি বাদ দিয়েছিলেন। এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও অস্বীকার করেননি কমল নাথ। সেই সময় সজ্জন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে কমল নাথ অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছিলেন। সজ্জনের কথায়, 'একজন মানুষ সম্মান ও আত্মমর্যাদার জন্য রাজনীতি করে। আমি গত ৪০ বছর ধরে কমল নাথের সঙ্গে যুক্ত। তিনি আমার নেতা। তিনি যেখানে যাবেন, আমিও সেখানেই যাব।'