জম্মু ও কাশ্মীরে তিন সিভিলিয়ানের মৃত্যু নিয়ে এবার তদন্তের নির্দেশ দিল সেনা। শুক্রবারের জঙ্গি হামলর ঘটনার পরবর্তী সময় তাদের আটক করেছিল সেনা। তাদের জেরা করার জন্য আটক করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাদের মৃত্য়ু কীভাবে হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার আরও একাধিক গ্রামবাসীকে আটক করেছিল সেনা। তার মধ্যে মহম্মদ সাফির, সাবির আহমেদ, শওকত হোসেন ছিলেন। তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে. এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, সিভিলিয়ানদের মৃত্যু নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সূত্রের খবর, একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সিভিলিয়ানদের মারধর করা হচ্ছে। পরিবারের দাবি, মিলিটারি স্টেশনে ওদের মারধর করা হয়েছিল।
এদিকে আহত একাধিক গ্রামবাসীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এদিকে আধিকারিকদের দাবি, ওই ভিডিয়ো যেটা সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘুরছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে গত সাত মাসে অন্তত ২০জন সেনার মৃত্য়ু হয়েছে কাশ্মীরের পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টরে। তার মধ্য়ে আধিকারিকরা, স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোরা রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বাফিয়াজের কাছে সেনার দুটি গাড়িতে হামলা চালায়। চারজন সেনার মৃত্যু হয়। হামলার পরেই জঙ্গিরা গা ঢাকা দেয়। সেনা মনে করছে অন্তত ২৫জন বিদেশি জঙ্গি পীরপঞ্জাল রিজিয়নে কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে কাশ্মীরে জঙ্গি মোকাবিলায় সদা সতর্ক ভারতীয় সেনা। জঙ্গি মোকাবিলায় একাধিক অপারেশনে বড় সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনা।