জি ডিসুজা
আট মাস আগে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি কেরলের কোঝিকোড়ে। এমনকী ছেলে মারা গিয়েছে ভেবে শ্রাদ্ধশান্তিও করা হয়ে যায়। আর এতদিন বাদে সেই ছেলের খোঁজ মিলল গোয়ায়। ৩৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম দীপক। তার বাড়ি কোঝিকোড়ে। গতবছরের ৭ জুলাই থেকে তার খোঁজ মিলছিল না।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, দিন দশেক আগে কেরলের কোয়লান্ডি বিচে একটি দেহ পাওয়া গিয়েছিল। বাড়ির লোকজন মনে করেন এটা হয়তো দীপকের দেহ। সেই ভেবে দেহটি সৎকারের ব্যবস্থা করেন তারা। কিন্তু পরে তাদের ভুল ভাঙে। তারা বুঝতে পারে আসলে দেহটি দীপকের নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মনে করা হয়েছিল দীপক মারা গিয়েছে। তার পরিবার একটি দেহকে দীপকের বলে চিহ্নিত করে তার সৎকার করে ফেলে। এদিকে ডিএনএ টেস্টে জানা যায় দেহটি আসলে দীপকের নয়।
এদিকে পরে জানা যায় দেহটি আসলে ইরশাদ নামে এক ব্যক্তির। সোনা পাচারকাণ্ডে তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তার দেহই মিলেছিল সমুদ্রের ধারে। কেরল পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর।
দক্ষিণ গোয়ার ইনস্পেক্টর তুলসীদাস নায়েক জানিয়েছেন, হোটেলে যে অতিথিরা এসেছিলেন তার তথ্য আমরা দেখছিলাম। সেই সময় ক্রাইম ব্রাঞ্চ আমাদের কাছে মিসিং রিপোর্টটা পাঠায়। তখনই বোঝা যায় সে হোটেলে আছে।
এদিকে দীপক বাগমালো বিচে কাজ করছিলেন। পরে তিনি মার্গাওয়ের ওই হোটেলে চেক ইন করেন।
এদিকে দীপক সংক্ষিপ্তভাবে জানান যে, তিনি হোটেলে কাজ করতেন। কিন্তু তার বাড়ির লোকজন যে শেষকৃত্য করে ফেলেছে তা তিনি জানতেন না। তিনি বাড়়ির সঙ্গে কেন যোগাযোগ রাখতেন না? দীপক জানিয়েছেন, সঙ্গে ফোন ছিল না। সেকারণে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।
তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন গত আট মাস ধরে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছেন। পঞ্জাব, সিমলা, দিল্লি, মুম্বই, মধ্যপ্রদেশ ঘুরে শেষ পর্যন্ত তিনি এসেছিলেন গোয়ায়। কিন্তু সেখানেই পুলিশ উদ্ধার করল দীপককে।