রাতারাতি বিখ্য়াত হওয়ার বাসনা। বন্ধুকে দিয়ে পিঠে পিএফআই লিখিয়ে গল্প সাজিয়েছিল সেনা জওয়ান। অবশেষে আসল সত্যি সামনে এল।
সোমবার কেরলের কোল্লাম জেলায় ভারতীয় সেনা জওয়ানকে বেঁধে পিঠে পিএফআই লিখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সেনা জওয়ান সিনে কুমার। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তবে পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে পুরোটাই সাজানো। ওই জওয়ান মিথ্য়ে কথা বলেছিলেন। পুলিশ ওই জওয়ান ও তার বন্ধুকে আটক করেছে।
নিষিদ্ধ সংগঠন PFI-এর বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ এনে কার্যত এলাকায় শোরগোল ফেলার চেষ্টা করেছিলেন ওই জওয়ান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করে। কারণ কিছুদিন আগেও দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছিল পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে। তারপর কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। এবার ফের কাঠগড়ায় পিএফআই।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রবিবার রাতে স্থানীয় রবারের জঙ্গল এলাকায় তার উপর হামলা চালানো হয়েছিল। অন্তত ৬জন ছিল সেই দলে। তার বাড়ির কাছেই এই হামলা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে টেপ দিয়ে তাকে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর সবুজ রঙ দিয়ে তার পিঠে পিএফআই শব্দটি তারা লিখে দেয়।
পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পুরোটাই নাটক। নিজে রাতারাতি বিখ্য়াত হওয়ার জন্য পিঠে অপর এক বন্ধুকে দিয়ে এসব লিখিয়েছিল সেনা জওয়ান। সবুজ রঙ. ব্রাশ, টেপ সবটাই পেয়েছে পুলিশ তার বন্ধুর বাড়ি থেকে।
তার বন্ধুর দাবি বিখ্যাত হওয়ার জন্য় এই গল্প সাজিয়েছিল সেনা জওয়ান।বন্ধু দাবি, আমি মদ খেয়েছিলাম। সেকারণে প্রথমে ডিএফআই লিখি। পরে আমাকে মারধরের কথা বলে। তখন পিএফআই লিখে দিয়েছিলাম ওর পিঠে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই সেনা আহত হননি। তিনিই বন্ধুকে দিয়ে তার শরীর, মুখ টেপ দিয়ে বাঁধতে বলেছিলেন।
এদিকে কেরলের বিভিন্ন প্রান্তে পিএফআইয়ের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ইডি বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। আর তার মধ্যেই সামনে এসেছিল এই ঘটনা। প্রশ্ন উঠছিল কারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে? তবে এবার পর্দাফাঁস হল।
পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। সংক্ষেপে পিএফআই। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এই সংগঠনকে ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর নানা কথা উঠেছিল। দেশজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে তারা প্রতিবাদও জানায়। তবে দেশ বিরোধী নানা কার্যকলাপের কথাও ধীরে ধীরে সামনে আসতে থাকে। তবে এনআইএ ও ইডির তাদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। অন্তত পাঁচ বছরের জন্য এই সংগঠনকে দেশে ব্যান করা হয়েছে। অভিযোগ তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকতে পারে। সেকারণেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।