কোমায় চলে গিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ইন। তাঁর অসুস্থতার জেরে এখন দায়িত্ব নিয়েছেন কিমের বোন কিম ইয়ো জং। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কিম দেই জংয়ের সহায়ক এই দাবি করেছে, যা ফলাও করে ছাপা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
কিম দেই জংয়ের আমলে রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির সচিব ছিলেন চ্যাং সং মিন। হাতের তালুর মতো চেনেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতির চালচলন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন যে উত্তর কোরিয়ার কোনও নেতা নিজের ক্ষমতার রাশ আলগা করবে না যদি না সে খুব অসুস্থ হয়ে বা তাঁকে বিদ্রোহের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত দেশ সম্বন্ধীয় নজরদারি কেন্দ্রেরও প্রধান ছিলেন চ্যাং। তাই তাঁর দাবি খুব সহজে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ।
চ্যাংয়ের দাবি কিম জং উন গভীর কোমায় আছেন কিন্তু এখনও মারা যাননি। কীরকম ভাবে সম্পত্তি ও ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারা হবে সেটা ঠিক হয়নি সেই জন্যেই আপাতত কিম ইয়ো জং দায়িত্বভার নিয়েছেন বলে তাঁর মনে নয়। চ্যাং বলেছেন যে চিনের এক বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তিনি এই কথা জানতে পেরেছেন।
কোরিয়া হেরাল্ড জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার স্পাই এজেন্সি খবর পেয়েছে যে কিম এমন একটা ব্যবস্থা এখন তৈরী করেছে যেখানে ক্ষমতার অনেকটাই বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। অর্থাৎ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায় ও দায়িত্ব এখন নিজের বিশ্বস্ত লোকদের হাতে সঁপে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার ডিক্টেটর। তবে এটির সঙ্গে খারাপ স্বাস্থ্যের কোনও সম্পর্ক, আছে এমন কিছু বলেনি এই গুপ্তচর সংস্থা।
গত কয়েক মাস ধরে কিম জং উনের প্রকাশ্যে আসার ছবি দেখায় যায়নি। শেষ ছবি দেখা গিয়েছে দোসরা মে-র। তবে চ্যাংয়ের দাবি, গত কয়েক মাসে উত্তর কোরিয়ার প্রকাশ করা কিমের সব ছবিই ফেক।