ভারতে বিমান দুর্ঘটনার হার কমাতে এবং দুর্ঘটনার তদন্তে সাহায্য করবে আমেরিকার জাতীয় পরিবহণ নিরাপত্তা পর্ষদ (NTSB) ও দুর্ঘটনা অনুসন্ধান ব্যুরো (AAIB)। অনুসন্ধান রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ৫ মাসের মধ্যে
গত ৭ অগস্ট দুবাই থেকে ফেরা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান কোঝিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়লে দুই চালক-সহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে পাশ করা জাতীয় বিমান (দুর্ঘটনার তদন্ত) আইন, আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থার (ICAO) ১৩ নম্বর ধারা অনুসারে AAIB-কে তদন্তের শিরোভাগে রেখে NTSB-কে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তভার অর্পণ করেছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
ICAO ১৩ নম্বর ধারার শর্তাবলী অনুসারে কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে তালিকাভুক্ত প্রতিনিধি এবং প্রযুক্তি বিশারদদের নিয়োগ করেছে NTSB, জানিয়েছে AAIB সূত্র। তদন্তকারী দল সমন্বয় রেখে চলেছে তালিকাভুক্ত প্রতিনিধি এবং প্রযুক্তি বিশারদদের সঙ্গে।
এর আগে ক্যাপ্টেন এস এস চাহারের নেতৃত্বে দুর্ঘটনার অনুসন্ধানের উদ্দেশে পাঁচ সদস্যের দল গড়েছে AAIB। দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অপারেশনস এক্সপার্ট বেদ প্রকাশ, সিনিয়র এয়ারক্র্যাফ্ট ইঞ্জিনিয়ার মুকুল ভরদ্বাজ, এভিয়েশন মেডিকেশন এক্সপার্ট গ্রুপ ক্যাপ্টেন ওয়াই এস দাহিয়া এবং AAIB-র সহকারী ডিরেক্টর যশবীর সিং লারঘা। পাঁচ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে তদন্তকারী দলকে, জানিয়েছেন AAIB ডিরেক্টর জেনারেল অরবিন্দ হান্ডা।
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে এবং আন্তর্জাতিক সময়সীমা মেনে এক বছরের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।