লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় সম্প্রতি চলে এসেছিল চিনা সেনা। সেই সময় চিনা সেনাকে রুখেছিলেন ভারতীয় মেষপালকরা। এই ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুলল কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এই বিষয়ে জানানো হল, এই ঘটনা প্রসঙ্গে তারা অবগত। এদিকে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়, কোনও ধরনের সংঘর্ষ বা বিবাদ মেটাতে বর্তমান ব্যবস্থাতেই আলোচনা চলবে। অর্থাৎ, ভারতীয় ও চিনা সেনা সীমান্তে আলোচনার মাধ্যমে এই ইস্যুর সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। (আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝে মলদ্বীপের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ল ৫০ শতাংশ! খরচের অঙ্ক জানেন কত?)
আরও পড়ুন: USA থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের ৩১টি ঘাতক ড্রোন আসবে ভারতে, শিলমোহর মার্কিন কংগ্রেসের
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের বিরোধী দলনেতা শেরিং নামগিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেছিলেন, চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, একটা কমব্যাট গাড়িতে চেপে অন্তত ৬ জন চিনা সেনাকর্মী যাচ্ছে। বার বার সাইরেন বাজিয়ে ভেড়া, ছাগলদের ভয় পাইয়ে দিচ্ছে তারা। তবে মেষপালকরা চিনা সেনাদের উদ্দেশে বলেন, এটা ভারতের এলাকা। এখান থেকে যাব না। এমনকী চিনা সেনার উদ্দেশে কয়েকটি পাছর ছুড়তেও দেখা যায় তাঁদের। সেই ঘটনার পরে ওই দিনই ভারতীয় ও চিনের সেনারা সমস্যা মেটাতে বৈঠক করে। এমনকী নিয়োমা ব্লকের সাব ডিভিশনাল ম্য়াজিস্ট্রেট জিগমেট আংচুক এলাকা পরিদর্শন করেন।
চিনা সেনাদের দাবি, যেখানে তারা গিয়েছিলেন সেটা তাদের জায়গা। মেষপালকরা ওখানে চলে এসেছিল। তবে স্থানীয়দের দাবি, সেই এলাকা ভারতীয় নিয়ন্ত্রণে। চিনা সেনা সেখানে অনুপ্রবেশ করেছিল। এদিকে এই ঘটনার পরই ভারতীয় সেনার তরফ থেকে গ্রামবাসীদের বলা হয়েছিল যাতে তাঁরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে না যায়। পরে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে একটা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানে সংঘর্ষ বেঁধেছিল ভারত ও চিনা সেনার। এরপর থেকেই লাদাখে ভারত ও চিনা সেনা একে অপরের দিকে চোখ রাঙিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে সম্প্রতি জানা গিয়েছে, গালওয়ান সংঘর্ষের পরে আরও দু'বার নাকি চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এই আবহে গত মাসে বার্ষিক সংবাদিক সম্মেলনে ভরতীয় সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে বলেছিলেন, 'চিনের সাথে ক্রমাগত আলোচনা চালিয়ে গিয়ে পুরনো অবস্থায় ফিরে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ২০২০ সালের মাঝামাঝি যে অবস্থা ছিল, আমরা সেখানে ফিরে যেতে চাই।'