দিল্লি আবগারি মামলায় ধৃত শরদচন্দ্র রেড্ডির টাকা ঢুকেছে বিজেপির অ্যাকাউন্টে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অরবিন্দ ফার্মার শরদ কেন্দ্রের শাসক দলকে প্রায় ৬০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এমনই অভিযোগ তুললেন দিল্লির মন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অতিশি। তিনি দাবি করলেন, শরদের বয়ানের ভিত্তিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হলেও প্রাথমিকভাবে যখন অরবিন্দ ফার্মার প্রতিষ্ঠাতা পিভি রামপ্রসাদ রেড্ডির ছেলেকে ধরেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), তখন তিনি বলেছিলেন যে কোনও আপ নেতার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। কিন্তু কয়েক মাস জেলে থাকার পরে শরদ বয়ান পালটে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন অতিশি। সেইসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে গ্রেফতার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন দিল্লির মন্ত্রী।
সাংবাদিক বৈঠকে অতিশি বলেন, ‘দিল্লির তথাকথিত আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত দু'বছর ধরে সিবিআই এবং ইডির তদন্ত চলছে। এই দু'বছর একটা প্রশ্ন উঠে এসেছে, সেটা হল যে টাকার লেনদেনটা কোথায় হয়েছে? টাকা কোথায় গিয়েছে? আপের কোনও নেতা, কোনও মন্ত্রী বা কোনও কর্মীর থেকে টাকা মেলেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘(আগে) শরদচন্দ্র রেড্ডি স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে তাঁর কখনও দেখা হয়নি। আপের সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। কয়েক মাস ধরে জেলে থাকার পরে উনি নিজের বয়ান পালটে ফেললেন। কিন্তু টাকা কোথায়? অর্থ লেনদেনের প্রমাণ কোথায়?’
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে দিল্লি আবগারি মামলায় শরদকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে যে দিল্লি আবগারি নীতির অধীনে ন'টি খুচরো ব্যবসার জোন পাওয়ার জন্য আপ নেতাদের টাকা দিয়েছিলেন শরদ। যিনি ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের 'সাউথ গ্রুপ'-র অংশ ছিলেন বলে দাবি করেছে ইডি। যে 'সাউথ গ্রুপ'-র বিষয়টি শুক্রবার দিল্লির রাউস কোর্ট অ্যাভিনিউ কোর্টে কেজরিওয়ালের মামলার শুনানিতেও তুলে ধরেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর 'সাউথ গ্রুপ'-র ‘সদস্য’-কে রাজসাক্ষী হওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
যদিও অতিশির দাবি, আদতে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে শরদকে রাজসাক্ষী করা হলেও তিনি টাকা দিয়েছেন বিজেপিকে। তাই নড্ডাকে গ্রেফতার করা উচিত। দিল্লির মন্ত্রীর কথায়, ‘উনি বিজেপিকে ৪.৫ কোটি টাকা মূল্যের নির্বাচনী বন্ড দিয়েছেন। তারপর আরও ৫৫ কোটি টাকার বন্ড দিয়েছেন? অর্থ লেনদেনের প্রমাণ কোথায় আছে? বিজেপির অ্যাকাউন্টে অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ করছি যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে গ্রেফতার করে দেখান।’