লকডাউনের আওতা থেকে আরও কয়েকটি ক্ষেত্রকে ছাড় দিল কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়ে মঙ্গলবার দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আরও পড়ুন : New Tax Rate vs Old Tax Rate- স্বনিযুক্তদের উপার্জনের ওপর কোন নিয়মে TDS কাটবে?
সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের শিক্ষামূলক বইয়ের দোকান খোলা থাকবে। বৈদ্যুতিন পাখার দোকানও লকডাউনের আওতার বাইরে থাকছে। পাশাপাশি, কৃষিক্ষেত্র ও হর্টিকালচারের আরও কয়েকটি ক্ষেত্রকে লকডাউন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সমস্ত কৃষিকাজ ও হর্টিকালচার সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে আমদানি বা রফতানির জন্য প্যাকিং হাউস (যেখানে ফল বা শস্য প্যাক করা হয়), বীজ ও হর্টিকালচার সামগ্রীর পরীক্ষা ও তা দেখভালের বিভিন্ন কেন্দ্র লকডাউনের আওতার বাইরে থাকছে।
আরও পড়ুন : ITR form revised- করোনার জেরে পিছিয়েছে সময়সীমা, নয়া আইটিআর ফর্ম দেবে CBDT
পাশাপাশি, কৃষিকাজ ও হর্টিকালচার সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাজ জারি রাখা যাবে। রাজ্যের মধ্যে মাছি চাষের কোনও দ্রব্য, রোপণের সামগ্রী ও মৌমাছি কলোনির পরিবহন চালু থাকবে। ভিনরাজ্যেও সেগুলি নিয়ে যাওয়া যাবে। বনজ বৃক্ষরোপণ ও সিলভিকালচার সংক্রান্ত কাজেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: কেন্দ্রীয় দলকে সহযোগিতার আশ্বাস রাজ্যের, স্বাগত জানাল অমিত শাহের মন্ত্রক
এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, আগে থেকেই লকডাউনের আওতার বাইরে রয়েছে প্রবীণ নাগরিকদের সাহায্য প্রদানকারীদের বেডসাইড অ্য়াটেন্ডেন্ট ও কেয়ারগিভার-সহ সামাজিক ক্ষেত্র। তবে কেয়ারগিভারদের সংশ্লিষ্ট প্রবীণের বাড়িতেই থাকতে হবে। প্রিপেড মোবাইলের রিচার্জের মতো জনগণের প্রয়োজনের কাজে ছাড় রয়েছে। পাশাপাশি শহরাঞ্চলে পাউরুটি, দুগ্ধজাত প্রক্রিয়াকরণ, ময়দা মিল, ডাল মিল-সহ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পও লকডাউনের আওতার বাইরে রয়েছে।