কেন্দ্রের নির্দেশের পরও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। তা নিয়ে কড়া সুরে রাজ্যকে ধমক দিল কেন্দ্র। জানানো হল, রাজ্যের এই মনোভাবের জন্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে মূল্য চোকাতে হতে পারে। যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। সবদিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য।
বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে একটি চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা জানান, নেপাল, বাংলাদেশ ও ভুটান স্থল সীমান্ত দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য চলাচলের বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে গত ২৪ এপ্রিল যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল, তা এখনও হাতে পায়নি নয়াদিল্লি। ভাল্লা বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এখনও পণ্য পরিবহন শুরু হয়নি বলে খবর মিলেছে। ফলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশগামী অনেক ট্রাক। বাংলাদেশ থেকে ফেরার সময় এরকম গাড়ির অনেক চালকদের সীমান্ত পার করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং তাঁরা বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন।'
গত ১ মে জারি করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা স্মরণ করিয়ে ভাল্লা জানান, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্তঃ-সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল আটকাতে পারবে না বলে সাফ বলা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ‘রাজ্যের তরফে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যকে স্থল সীমান্ত পার করতে না দেওয়ার মাধ্যমে যে একতরফা কাজ করা হচ্ছে, তার ফলে আইনিভাবে ভারতের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের ক্ষেত্রে বড়সড় প্রভাব পড়বে’ বলে জানান ভাল্লা।
কলকাতায় কেন্দ্রীয় দলকে অসহযোগিতার অভিযোগে মুখ্যসচিবকে যেমন নির্দিষ্ট আইনের ধারা উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এবারও সেই একই পন্থা নিয়েছেন ভাল্লা। চিঠিতে তিনি বলেন, ‘এই কাজের মাধ্যমে রাজ্য শুধু বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় জারি করা নির্দেশ করছে লঙ্ঘন করছে না, সংবিধানের ২৫৩,২৫৬ এবং ২৫৭ ধারাও লঙ্ঘন করছে।’
সেজন্য ‘কোনওরকম বিলম্ব ছাড়া’ পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত সমস্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। একইসঙ্গে বুধবারের মধ্যেই সীমান্ত চলাচল সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।