বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Mahua Moitra Attacks BJP: ‘এটাই গুজরাট মডেল’, বিলকিসের ধর্ষকদের ‘সংস্কারী’ বলা বিধায়ককে টিকিট দেওয়ায় BJP-কে খোঁচা মহুয়ার

Mahua Moitra Attacks BJP: ‘এটাই গুজরাট মডেল’, বিলকিসের ধর্ষকদের ‘সংস্কারী’ বলা বিধায়ককে টিকিট দেওয়ায় BJP-কে খোঁচা মহুয়ার

মহুয়া মৈত্র এবং বিলকিস বানো

বিলকিসের ধর্ষকদের ‘সংস্কারী ব্রাহ্মণ’ আখ্যা দিয়েছিলেন বিধায়ক চন্দ্রসিং রউলজি। সেই চন্দ্রসিংকেই এবারও গোধরা থেকে টিকিট দিল বিজেপি। আর এই নিয়েই পদ্ম শিবিরকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোকে ধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারকে হত্যা করার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিদের চলতি বছর ১৫ অগস্ট মুক্তি দেওয়া হয়েছিল জেল থেকে। সেই ধর্ষকদের ‘সংস্কারী ব্রাহ্মণ’ আখ্যা দিয়েছিলেন বিধায়ক চন্দ্রসিং রউলজি। সেই চন্দ্রসিংকেই এবারও গোধরা থেকে টিকিট দিল বিজেপি। আর এই নিয়েই পদ্ম শিবিরকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মহুয়া টুইট করে এই নিয়ে লেখেন, ‘এটাই গুজরাট মডেল।’

টুইট বার্তায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ লেখেন, ‘বিলকিসের ধর্ষক ও হত্যাকারীদের যে বিধায়ক সংস্কারী ব্রাহ্মণ বলেছিলেন, তাঁকে আবারও টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এটাই গুজরাট মডেল। ঘৃণা ছড়াও, হত্যা করো, আর পরে পুরস্কার পাও।’ প্রসঙ্গত, যে প্যানেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বিলকিসের ধর্ষণকারীদের মুক্তি দেওয়া হবে, তার সদস্য ছিলেন বিধায়ক চন্দ্রসিং। গোধরার ৬ বারের বিধায়ক চন্দ্রসিং এর আগে কংগ্রেসে ছিলেন। ২০০৭ ও ২০১২ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ২০১৭ সালেও স্বল্প ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।

এহেন বিজেপি বিধায়ক বলেছিলেন, ‘তারা কোনও অপরাধ করেছে কি না জানি না। কিন্তু অপরাধ করার কোনও উদ্দেশ্য নিশ্চয় ছিল। তারা ভালো মানুষ - ব্রাহ্মণ। এবং ব্রাহ্মণদের ভালো 'সংস্কার' থাকে। তাদের কোণঠাসা করে শাস্তি দেওয়া কারও খারাপ উদ্দেশ্য হতে পারে।’ চন্দ্রসিংহের এহেন মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছিল। এবার তিনি নির্বাচনে টিকিট পাওয়ায় সেই বিতর্ক নতুন করে দানা বেঁধেছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের মার্চ মাসে দাহোদ জেলায় লিমখেড়া তালুকায় রাধিকাপুর গ্রামে একদল দুষ্কৃতী বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল। পরে ২০০৪ সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিশেষ সিবিআই আদালত বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গণহত্যার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের আদেশ ঘোষণা করেছিল। তবে এই বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার পঞ্চমহলের কালেক্টর সুজল মায়াত্রার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সর্বসম্মতিক্রমে কারাবাসের সময় কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় কমিটির তরফে। সেই মতো স্বাধীনতা দিবসের দিন দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

 

বন্ধ করুন