ঠিক ৬২ দিন! করোনাভাইরাসের জন্যে হাসপাতালে সবথেকে বেশি দিন হাসপাতালে থাকার নজির গড়েছেন তিনি। আমেরিকার সিটেলের সেই মাইকেল ফ্লোরের হাসপাতালে বিল হয়েছে ১.১ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৮.১৪ কোটি টাকা।
বছরের ৭০-এর ফ্লোর কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। এমনই যে একরাতে পরিবারের সঙ্গে তাঁকে ‘শেষবার’-এর মতো কথা বলিয়ে দেন এক নার্স। তিনি কানে ফোন ধরেছিলেন এবং ফ্লোর নিজের স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েদের ‘শেষবিদায়’ জানান। সেই অবস্থা থেকে কোনওক্রমে বেঁচে ফেরেন ফ্লোর। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, ‘মিরাকল’ করেছেন তিনি।
তারপর পশ্চিম সিটেলের বাড়ি যান তিনি। সেখানে হাসপাতালের তরফে বিল পাঠানো হয়। সেই বিল দেখে আরও একবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোগাড় হয় বলে জানান ফ্লোর। কারণ হাসপাতালের বিল হয়েছে ১.১ মিলিয়ন ডলার। আর বিলের পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৮১। তাতে যাবতীয় খরচের পুঙ্খানুপুঙ্খু বিররণ দেওয়া হয়েছে। যে দু'দিন ফ্লোরের হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং ফুসফুস কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল অর্থাৎ মাল্টি অর্গ্যান ফেলিয়োর কার্যত নিশ্চিত হয়ে উঠেছিল, সেদিনের বিলই শুধু ২০ পৃষ্ঠা ধরে চলেছে। আর তাতেই খরচ হয়েছে ১০০,০০০ মার্কিন ডলার। ফ্লোর বলেন, চিকিৎসকরা মনে হয় ‘যা কিছু ভাবতে পেরেছেন, তার প্রতিটি জিনিস আমার উপর প্রয়োগ করছিলেন।’
তবে বৃদ্ধের স্বাস্থ্যবিমা থাকায় তাঁকে বিলের বেশিরভাগ অংশটাই দিতে হবে না। এমনকী করোনা রোগী হওয়ায় পুরো বিলটাই মকুব করে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এখনও বিলের সঙ্গে ধাতস্থ হতে পারছেন না ফ্লোর। বিল পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি নিয়ে ফ্লোর বলেন, 'বেঁচে ওঠায় নিজেকে দোষী মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, কেন আমি? কেন এটা আমার প্রাপ্য? সেই বিশাল খরচ দেখে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের অবশ্যই অপরাধবোধ বাড়াবে।'