সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক আংশিক সময়ের সাফাইকর্মীকে দিয়ে পড়ুয়াদের প্রস্রাব বয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট এনিয়ে কড়া অবস্থান নিল। এই ঘটনায় ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ওই ব্য়ক্তি তফসিলি জাতিভুক্ত। তিনি এনিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। তিনি আদালতকে জানান আমি এই কাজ করতে চাইনি। কিন্তু আমাকে জোর করে এই কাজ করতে বলা হয়েছে। এই ধরনের অমানবিক কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
এদিকে এনিয়ে কার্যত কড়া অবস্থান নিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতি সত্যেন বৈদ্যর বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে যারা এই ধরনের কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইন মেনে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, আবেদনকারীকে নানা দিক থেকে ভুগতে হয়েছে। তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছে। তাঁকে চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি পাবেন না এমনটা নয়। কারণ তারা শুধু আবেদনকারীর সঙ্গে অবিচার করেছেন সেটাই নয়, তারা আমাদের এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করেছে।
ওই ব্যক্তি ছাম্বা জেলায় বানীখেতে সরকারি পলিটেকনিকে চাকরি করেন। তিনি আদালতকে জানিয়েছিলেন ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই পলিটেকনিকে নতুন করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছিল। কিন্তু চারতলায় কোনও শৌচাগার ছিল না। এদিকে সেই ভবনেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিকে সেই পরীক্ষার হলের বাইরে একটি ড্রাম রাখা হয়েছিল। সেখানেই প্রস্রাব করেছিলেন ছাত্ররা।
তিনি বলেন, আমাকে বলা হত চারতলা থেকে সেই ড্রামটি বয়ে নিয়ে এসে একতলায় খালি করতে হবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও এটা আমাকে করতে বাধ্য করা হয়েছিল। একদিন সেটা করার সময় আমি সিঁড়িতে পড়ে যাই। সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে আমি মারাত্মক চোট পাই।
তিনি জানিয়েছেন এই অপমানজনক আচরণের প্রতিবাদে আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও চিঠি দিয়েছিলাম। প্রধান বিচারপতির কাছেও আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
এদিকে অপরপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলা হয় তহশিলদার এনিয়ে তদন্ত করেছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে গোটা বিষয়টি ভিত্তিহীন।
পরে ওই ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ওই কাজ করেছিলেন। এজন্য তাকে প্রতি সিফ্টে অতিরিক্ত ৫৫ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল।