শোভাপতি সামম
মণিপুরে রেলের কনস্ট্রাকশন সাইটে ভয়াবহ ধসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০। শুক্রবার ধ্বংসস্তুপ থেকে আরও ১২জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার মাঝরাতে ওই কনস্ট্রাকশন ক্যাম্প এলাকায় হুড়মুড়িয়ে পাহাড়ের মাটি ধসে যায়। ওই রেলের কাজের সুরক্ষার জন্য ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মির ক্যাম্পও ছিল এলাকায়। সেই ক্যাম্পও হুড়মুড়িয়ে ধসে যায়।
এদিকে পাহাড় ধসে এমন পরিস্থিতি হয় যে স্থানীয় একটি নদীর ধারাও বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে সেই নদীর জল উপচে একেবারে নীচু জায়গা ভাসিয়ে দেয়। হু হু করে জল বাড়তে থাকে। শুক্রবার কিছু ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে নদীর গতিপথকে ঠিকঠাক করার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে এলাকায় ব্যাপক উদ্ধারকাজ চলছে। কিন্তু আবহাওয়ার পরিস্থিতির জন্য উদ্ধারকাজ বার বার ব্যহত হচ্ছে। কোথাও মাটির নীচে কেউ চাপা পড়ে রয়েছে কি না তা দেখার জন্য ওয়াল ইমেজিং রাডার ব্যবহার করা হচ্ছে।
শিলচর ও কোহিমাতে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হচ্ছে। বড় মেশিন এনে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হচ্ছে। আবহাওয়া, দুর্গম এলাকা, ও বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ভূমি ধসের কারনে উদ্ধারকাজে আরও সমস্যা হচ্ছে।এমনকী অভিজ্ঞ মহলের মতে, অতীতে এত বড় ধসের খবর বিশেষ পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্থানীয় এলাকার প্রচুর মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে তাঁরাও ওই ধ্বংসস্তুপের কাছে এসে প্রিয়জনেদের খুঁজছেন।