গতকালই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কংগ্রেস ত্যাগের ঘোষণা করেছিলেন বর্ষীয়ান রৈজনীতিবিদ গুলাম নবি আজাদ। তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই এবার বিস্ফোরক বার্তা উঠে এল অপর এক বর্ষীয়ান নেতার গলায়। গুলাম নবি আজাদের দলত্যাগকে ‘দুর্ভাগ্য’ বলে আখ্যা দেন মণীশ তিওয়ারি। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা করে সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি লেখেন গুলাম নবি আজাদ। সেই চিঠিতে রাহুল গান্ধী নিয়ে কড়া ভাষায় নিজের বক্তব্য পেশ করেছিলেন আজাদ। সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন মণীশ। মণীশ তিওয়ারি বলেন, 'যাঁদের ওয়ার্ড নির্বাচন জেতার ক্ষমতা নেই, তাঁরা ভোটে জেতার কথা বলছেন।'
কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি শনিবার বলেন যে সাম্প্রতিক নির্বাচনে কংগ্রেসের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে ভারত এবং কংগ্রেস ‘ভিন্নভাবে চিন্তাভাবনা’ শুরু করেছে। আত্মদর্শন করতে কংগ্রেস দল ব্যর্থ। মনীশ তিওয়ারি বলেন, ‘দুই বছর আগে আমাদের মধ্যে ২৩ জন সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলাম। আমরা বোঝাতে চেয়েছিলাম যে দলের অবস্থা উদ্বেগজনক এবং এটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। সেই চিঠির পর সব বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস হেরেছে। কংগ্রেস এবং ভারত মনে হয় আলাদাভাবে ভাবতে শুরু করেছে।’ আরও বলেন, ‘বহু মানুষ ও পরিবার তাদের রক্ত দিয়ে কংগ্রেসের বাগান লালন করেছে। আমাদের কোনও সার্টিফিকেট লাগবে না। আমরা এই প্রতিষ্ঠানের ভাড়াটিয়া নই, আমরা সহযোগী। এখন আপনি যদি আমাদের ঠেলে বের করার চেষ্টা করেন, তাহলে অন্য কথা। দেখা যাক।’
প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদের পদত্যাগের বিষয়ে, কংগ্রেস সাংসদ বলেছেন যে ভারত এবং কংগ্রেসের মধ্যে সমন্বয়ের মধ্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে। দলের আত্মদর্শন প্রয়োজন ছিল। তিনি আরও বলেন যে, আমি মনে করি যদি ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর সোনিয়া গান্ধী বাসভবনে বৈঠকে আমাদের সঙ্গে সম্মত হতেন, তাহলে এই পরিস্থিতি আসত না। মনীশ তিওয়ারি বলেন যে উত্তর ভারতের মানুষ যারা হিমালয়ের চূড়ার দিকে থাকে তারা আবেগী এবং আন্তরিক হন। এসব লোকের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘এটা বলাই যথেষ্ট যে, মাঝে মাঝে এটা অদ্ভুত মনে হয় যে, যাদের ওয়ার্ড নির্বাচনেও লড়াই করার ক্ষমতা নেই তারা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কথা বলতে চায়। যখন কংগ্রেস নেতাদের চাপরাশি পদে থাকা ব্যক্তিরা জ্ঞান দেয় তা হাস্যকর।’