চাকরি নাকি প্রেম আগে? ‘কঠোর’ শাশুড়ির মন জিততে কী করতে হবে? ৫২ বছরে এসে কি নিজের পছন্দের মহিলাকে বিয়ে করব? এমনই সব প্রশ্ন ধেয়ে এল পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকরের দিকে। আর সেইসব প্রশ্নের প্রেক্ষিতে একেবারে 'লাভগুরু' হয়ে উঠলেন পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী। যে প্রশ্নগুলি এসেছিল, নিজের মতো করে সেইসব প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। দেন পরামর্শ। আর সেই পরামর্শের মধ্যে থেকে একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীর সেই পরামর্শটা খুব সহজ ছিল - নিজের মনের মানুষ পেলে ৫২ বছর কেন, ৮২ বছরেও বিয়ে করতে পারেন। তাতে কারও কিছু করার বলার নেই।
যে প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী সেই পরামর্শ দেন, তাতে একজন জানতে চান যে ‘আমার যে মহিলাকে ভালো লাগে, তাঁকে আমি বিয়ে করব? আমার বয়স হল ৫২।’ সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ‘রিলেশনশিপ কোয়েশ্চেনস উইথ পিএম কাকর’ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই। আপনার বয়স ৮২ হলেও সেটা ভেবে দেখতে পারেন।’ কে সেই প্রশ্নটা করেছিলেন, তা অবশ্য ওই অনুষ্ঠানে জানানো হয়নি।
কিন্তু ২০২৪ সালের পয়লা দিনে পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীর সেই ‘লাভগুরু’ ছন্দে মজেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তেমনই একজন বলেন, ‘এখন আমি নিজেকে গর্বিত পাকিস্তানি বলতে পারি।’ অপর একজন বলেন, 'রসিক মানুষ।' কেউ-কেউ অবশ্য পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। এক নেটিজেন বলেন, ‘রাজনীতিবিদের থেকে প্রধানমন্ত্রীকে যেন লাভগুরু মনে হচ্ছে। অবসরের পরে কোয়েট্টার প্রিন্স রোডে একটি বিয়ের ব্যুরো খোলা উচিত তাঁর।’ অপর একজনের কটাক্ষ, কাকরের বোঝা উচিত যে উনি একজন প্রধানমন্ত্রী, টিকটকার নন। এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম যে অর্থনীতি, ভোট নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন।’
আরও কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী। একজন প্রশ্ন করেছিলেন যে শাশুড়িকে কীভাবে সামলাবেন। সেই প্রশ্নের জবাবে মজা করে পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী বলেন, যিনি প্রশ্ন করেছেন, তাঁকে ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট’ কোর্সে ভরতি হওয়া উচিত। আবার একজন প্রশ্ন করেন, তিনি বিদেশে চাকরি পেয়েছেন। সেজন্য কি নিজের ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে বিদেশে চলে যাবেন? নাকি ভালোবাসার মানুষের জন্য চাকরি ছেড়ে দেবেন? তাতে কাকর পরামর্শ দেন যে 'আমার মতে, ভাগ্য ভালো থাকলে জীবনে প্রেম আসে। আর নিজের দক্ষতা থাকলে চাকরি আসে। নিজের ক্ষমতার ভিত্তিতে আবারও চাকরি পাওয়ার সুযোগ আসবে।'