শিশির গুপ্তা
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর। তারপর ২২ বছর কেটে গিয়েছে। পার্লামেন্টের জঙ্গি হানা হয়েছিল সেদিন। আর সেই হানায় মূল চক্রী ছিল মাসুদ আজহার আলভি। জৈশ ই মহম্মদের নেতা ওই জঙ্গি। আর সেই জঙ্গি এখন পাকিস্তানে একেবারে সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, ৫৫ বছর বয়সি ওই ব্য়ক্তি মাঝেমধ্যে পাকিস্তানের ভাওয়ালপুরে যান বলে খবর।
২০০১ সালে সংসদ হামলায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। পাঠানকোটে এয়ারবেসে হামলাতেও নাম জড়িয়েছিল তার। ২০০৫ সালের ৫ জুলাই অযোধ্য়ায় হামলা চালানোর ছকও তারা কষেছিল। ২০১৬ সালে আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানোর চেষ্টা চালিয়েছিল তারা। আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেন ও তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা ওমর আবদুল্লাহর সহযোগী ছিল ওই ব্যক্তি।
তবে ভারতে হামলা চালানোর অভিযোগে জঙ্গিদের দোষী সাব্যস্ত না করে হামলা চালানোর জন্য তাকে কার্যত জামাই আদর করে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছেে পাকিস্তান। এমনটাই খবর।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে হানা দিয়েছিল ভারত। জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির গুড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। কার্যত পুলওয়ামার ঘটনার পরেই এই জঙ্গি দমন করেছিল ভারত।
এদিকে আজহার হল পাকিস্তানের একেবারে জেহাদি রত্ন। তাকে পুরো সুরক্ষা দিয়ে রাখে পাকিস্তান। এদিকে এর আগে জেনারেল মুসারফের উপর হামলার চেষ্টা করেছিল আল কায়দা। তারপরেও সেই আল কায়দা জঙ্গিদেরই যত্নে রাখে পাকিস্তান। এমনটাই খবর। তবে সেই পাকিস্তান সরকার ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে তারা নাম বদলে হয়ে যায় খুদ্দামুল ইসলাম।
মাসুদের হাতে যাতে সংগঠনের রাশ থাকে সেজন্য সে সংগঠনের মাথায় তার পরিবারের লোকজনকে রাখে। মাসুদের ভাই আব্দুল রউফ আসগর আলভি রোজকার ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখে। তার অপর ভাই তালহা সইফ আল মুরাবিত্তুনও আছে সংগঠনে।