আগামী লোকসভা ভোটে বহুজন সমাজ পার্টির অবস্থান কী হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা রয়েছে। তবে তার মধ্য়েই জানা গিয়েছে, আগামী লোকসভা ভোটে বহুজন সমাজ পার্টি একাই লড়াই করবে। তবে সেই সঙ্গেই অযোধ্য়ায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী।
বিএসপি নেত্রী ৬৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে দলের রাজ্য দফতরে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে বিএসপি প্রধান জানিয়েছেন, বিএসপি কংগ্রেসের নেতৃত্বে থাকা ইন্ডিয়া জোটে বা বিজেপির নেতৃত্বে থাকা এনডিএ জোটে যোগ দেবে না। তবে নিজের শক্তিতে বিএসপি আগামী ভোটে লড়াই করবে। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী জানিয়েছেন, বিএসপি সাম্প্রদায়িক, ধনতান্ত্রিক, জাতপাত নিয়ে যারা রাজনীতি করে এমন দলগুলির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখবে।
তিনি জানিয়েছেন, রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিনের আমন্ত্রণপত্র আমি পেয়েছি। কিন্তু যাব কি না সেটা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। কারণ আমি দলের কাজে ব্যস্ত রয়েছি। বিএসপি এই কর্মসূচিকে স্বাগত জানাচ্ছে। সেই সঙ্গেই অযোধ্য়ায় মসজিদ তৈরির উদ্যোগকেও স্বাগত জানাচ্ছে বিএসপি। বিএসপি ধর্মনিরপেক্ষ দল। এই দল সমস্ত ধর্মকে সম্মান করে।
বিএসপি প্রধান জানিয়েছেন, আসন্ন ভোট যদি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় তবে ভালো ফলাফল হবে। বিএসপি নিজের শক্তিতে লড়াই করবে। কারণ এই দলের রাশ দলিত নেতাদের হাতে রয়েছে।
এদিকে অতীতের পরিসংখ্য়ান অনুসারে জানা গিয়েছে, ১৯৯৩ সালের বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই হয়েছিল। সেই সময় ৬৭টি আসন মিলেছিল। কিন্তু আখেরে লাভ হয়েছিল সমাজবাদী পার্টির। ১৯৯৬ সালে বিএসপি কংগ্রেসের সঙ্গে লড়লেও রাজনৈতিক সুবিধা পেয়েছিল কংগ্রেস। তবে ২০০২ সালে বিএসপি একা লড়াই করে। আর তাতে ১০০র বেশি আসন তারা পায়। ২০০৭ সালেও বিএসপি একলা লড়াই করে। তারপর বিএসপির ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে বিএসপি সরকার তৈরি করে ফেলে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে বিএসপি একলা লড়াই করলেও ভোট পরবর্তী ক্ষেত্রে বিএসপি কাদের সঙ্গে যায় সেটাই দেখার।
মায়াবতী ইভিএম সংক্রান্ত নানা অনিয়ম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।