চার সপ্তাহের মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মঙ্গলবার তামিলনাডু সরকারকে এই আদেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, নির্দিষ্ট করে দেওয়া ওই সময়সীমা অতিক্রম করে গেলে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সেন্থিকুমার রামমূর্তির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যাঁরা মানসিক ভারসাম্যহীন, তাঁদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য একটি মোবাইল টিম গঠন করতে হবে। তাদেরকে দিয়েই এই বিশেষ ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযান চালাতে হবে। এমনভাবে এই অভিযান চালাতে হবে, যাতে যাঁরা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন তাঁরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করোনার ভ্যাকসিন পান। একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের পরিবারের সদস্য বলতে কেউ নেই, পথেঘাটে তাঁরা বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরে বেড়ান, তাঁদেরকে দেখাশোনার দায়িত্ব স্থানীয় পুরসভা, পুরনিগম বা পঞ্চায়েতকেই নিতে হবে ও তাঁদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি ওই সব মানুষদের যাতে দ্রুত ভ্যাকসিনের দেওয়া যায়, সেই বিষয়টিও সরকারকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখতে হবে।
আগামী ২ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, 'পরবর্তী শুনানির দিন এই বিষয়ে সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আশা করি, যাঁরা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন তাঁদের করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে ভালো কাজেরই নজির তৈরি করবে সরকার।'
উল্লেখ্য, চেন্নাইয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় মামলাকারীর তরফে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয় যাতে যারা ঘরছাড়া ও মানসিকভারসাম্যহীন তাঁদের যাতে চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থা করা হয় ও তাঁদের উপযুক্ত পুনর্বাসন ও ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।