ধর্ষণের শিকার হলেন এক নাবালিকা।ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে এক যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সঙ্গে আরও তিনজন ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে শর্ত দিয়েছিল যে যদি ওই নাবালিকা ধর্মান্তরিত হয়, তবে তাঁকে বিয়ে করবে ওই যুবক।কিন্তু যুবকের প্রস্তাবে রাজি হননি ওই নাবালিকা।অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমরেন্দ্র সিং জানান,‘গত বছর সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে ধর্ষণের শিকার হন নাবালিকা।এরপর ওই নাবালিকা অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন।গত মাসে উজ্জয়িনীতে একটি শিশুর জন্মও দেন।এরপরই পুলিশের তরফে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।অভিযুক্ত যুবক ও আরও তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, যৌন হেনস্থা ও মধ্যপ্রদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের ৩ ও ৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।তবে যেহেতু পুরো ঘটনাটি মালেগাঁওতে ঘটেছে, তাই পুরো ঘটনার তদন্তের বিষয়টি মহারাষ্ট্র পুলিশকে হস্তান্তরিত করা হয়েছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নাবালিকা মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানির বাসিন্দা।পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে শ্রমিকের কাজ করতে মালেগাঁও গিয়েছিলেন ওই নাবালিকা।সেখানেই তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত যুবক মজিদ খানের দেখা হয়।মজিদ ওই নাবালিকাকে প্রথমে মোহিত বলে পরিচয় দিয়েছিল।বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে ওই যুবক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে।তারপরে তাঁকে ধর্ম বদল করতে জোর দিতে থাকে।কিন্তু ওই নাবালিকা তাতে রাজি হয়নি।এরপরই মেয়েটির ওপর বদলা নিতে মজিদ ও আরও তিন জন তাঁকে ধর্ষণ করেন।একইসঙ্গে তিনি জানান, এই ঘটনার পরই ওই নাবালিকা উজ্জয়িনীতে তাঁর বোনের বাড়িতে চলে আসেন।সেখানে প্রথমে পরিবারের লোকেদের কিছুই বলেনি সে।এরপরই গত এপ্রিল মাসে তাঁর পেটে ব্যথা হতে শুরু করে।এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে একটি শিশুর জন্ম দেয় সে।শিশুটি জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়।তারপর পুরো বিষয়টি এক মহিলাকে জানায়।ওই মহিলাই তখন বিষয়টি পুলিশ জানায়।তারপর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে শুরু করে ও ওই যুবককে গ্রেফতার করে।
এই প্রসঙ্গে উজ্জয়িনীর পুলিশ সুপার সতেন্দ্র শুক্লা জানান, অভিযুক্তদের মালেগাঁও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।তবে যেহেতু মধ্যপ্রদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন মহারাষ্ট্রে কার্যকর নয়, সেহেতু নাবালিকার নিজের বাসস্থানের রাজ্যে যাতে মামলাটি হয়, সে ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।