রেজাউল হাসান লস্কর
আগামী মাসে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভার্চুয়াল সামিট হবে বলে জানা গিয়েছে যেখানে অংশগ্রহণ করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনার এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে চারটি মৌ সই হবে বলে সূত্রের খবর।
এনআরসি ও সিএএ নিয়ে ভারতে হাওয়া গরম হওয়ার পর থেকে তার প্রভাব পড়েছিল দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও। কিন্তু বিদেশসচিব হর্ষ শ্রীংলা বাংলাদেশ সফরের পর সম্পর্কে মেঘ কাটে। তবে এই ভার্চুয়াল সামিটের আগে চূড়ান্ত আলোচনা করতে আট ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মমেনের ভারতে আসার কথা। মোদী-হাসিনার ভার্চুয়ার সামিট হতে চলেছে ১৭ ডিসেম্বর। কী কী মৌ সই হবে, সেই নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা চলছে।
আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে মোদীকে ২৬ মার্চ ঢাকায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে। বিদেশমন্ত্রী আবদুল মমেন জানিয়েছেন যে এই সফরের জন্য ভারত সম্মতি জানিয়েছে। চলতি বছর মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল মোদীর। কিন্তু করোনার জন্য সেই যাত্রা বাতিল হয়। সেই সময় বিজেপি নেতাদের অসম থেকে লোকজনদের বাংলাদেশে পাঠানোর কথায় সম্পর্কে চিড় ধরেছিল।
কিন্তু এরপর মোদী সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বকেয়া প্রকল্পে কাজের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। হর্ষ শ্রীংলা যখন ঢাকায় যান, তিনি মোদীর বার্তা পৌঁছে দেন শেখ হাসিনার কাছে। জুলাইয়ে ১০টি রেল লোকোমোটিভ ভারত দেয় বাংলাদেশকে। এছাড়াও কলকাতা থেকে চট্টগাম হয়ে ত্রিপুরায় মালবাহী জাহাজ যাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে মালগাড়ি চলছে। দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পে গতি আনতে নয়া মেকানিজম তৈরি করছে দুই দেশ। দুই দেশের মধ্যে তেলের পাইপলাইন ও তিনটি রেলপথ নির্মাণের কাজ ২০২১ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
তবে সূত্রের খবর যে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন আসতেই বিজেপি নেতাদের ফের সুর চড়ছে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ, ভুয়ো ভোটার প্রভৃতি ইস্যুতে। এইগুলি নিয়ে ফের উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ঢাকায়।