নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই বর্ষা ঢুকছে দেশে। সাধারণত ১ জুন কেরালায় বর্ষা ঢোকার কথা। কিন্তু তার একদিন আগেই ৩১ মে কেরালায় বর্ষা ঢুকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।আবহাওয়া দফতরের রিপোর্টে এমন কথাই বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আগামী ৩১ মে কেরালায় প্রবেশ করবে। তা খুব বেশি হলে চারদিন আগে-পরে হতে পারে।এর আগে ২০১৮ সালে এই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৮ সালে ২৯ মে কেরালায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছিল। আবহাওয়াবিদদের মতে, কেরালায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করার পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি নাগাদ সারা দেশ জুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ার কথা। এর আগে অবশ্য বেসরকারি সংস্থার তরফেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, এবারে বর্ষা নির্ধারিত সময়ের আগেই আসতে পারে। এবার সরকারি তরফেও এই একই কথাই ঘোষণা করা হল।
জানা গিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপ এলাকায় সম্প্রতি একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। যা ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তরে দিকে এগিয়ে দক্ষিণ গুজরাত উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, আরব সাগরের ওপর এই ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ায় তা দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকে তাড়াতাড়ি এগিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করছে। পুণের আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানী ও পি শ্রীনাথ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মৌসুমি বায়ুকে আরও শক্তিশালী করেছে ঠিকই। কিন্তু মৌসুমি বায়ু তাড়াতাড়ি ভারতীয় ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার ক্ষেত্রে এর কোনও সরাসরি যোগ নাও থাকতে পারে। জানা গিয়েছে, কেরালার আগে ২২ মে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্চে চলে আসবে দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
আবহাওয়া দফতরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, চলতি বছর দেশে বর্ষণের মাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।আবহাওয়া দফতরের মতে, দীর্ঘদিনের গড় চলতি বছর ৯৮ শতাংশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ৯৬ থেকে ১০৪ শতাংশের মধ্যে থাকলেই স্বাভাবিক ধরা হয়। সেক্ষেত্রে ধরা যেতেই পারে, এবারে দেশে বর্ষা স্বাভাবিক হবে।