মেয়ের বিয়ের জন্য চারবছর আগে ঋণ নিয়েছিলেন ওড়িশার রায়গড়ের এক প্রৌঢ়া। সেই ঋণ শোধের জন্য পাওনাদাররা চাপ বাড়িয়েছিলেন সম্প্রতি। উপায় না দেখতে পেয়ে আইপিএল ম্যাচে বাজি ধরার সিদ্ধান্ত নেন ৫৫ বছর বয়সি প্রৌঢ়া ও ২২ বছরের যুবক। তবে বাজি হেরে সর্বস্ব খোয়ান তাঁরা। আর এরপরই কোনও উপায় না দেখতে পেয়ে চরম পথ বেছে নিলেন দু’জনে। শুক্রবারে গভীর রাতে বিষপান করে মা-ছেলে আত্মঘাতী হন। পরে শনিবার সকালে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দু’জনেরই। (আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল গভীর নিম্নচাপ, বর্তমানে কোথায় দাঁড়িয়ে অশনি?)
প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ঋণ শোধের উপায় খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন সেই প্রৌঢ়া। মাঝে পাওনাদাররা নাকি তাঁদের বাড়ি এসে অপমান করে যায়। এরপরই আইপিএল জুয়ায় টাকা লাগিয়ে নিজেদের ভাগ্য ফেরানো চেষ্টা করেন প্রৌঢ়া ও তাঁর ছেলে। তবে ম্যাচে বাজি ধরে টাকা খোয়ান তাঁরা। এরপরই এই চরম পরিণতি। সকালে ঘটনা আন্দাজ করতে পেরে স্থানীয়রা দু’জনকে নিয়ে যান হাসপাতালে। তবে শেষ রক্ষা করা যায়নি।
স্থানীয়দের কথায়, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে পাওনাদারদের চোটপাটে মানসিক চাপে ছিলেন প্রৌঢ়া। প্রৌঢ়া এবং তাঁর ছেলেকে বাড়িতে বের করে দেয় পাওনাদাররা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাড়িতে ফেরেন তাঁরা। তবে বেশিরভাগ আসবাবপত্র, জিনিস পাওনাদাররা নিয়ে চলে যায়। এরপর ২২ বছর বয়সি যুবক বেশ কিছু টাকা ধার করে এনে আইপিএল ম্যাচে বাজি ধরেন। কিন্তু জুয়ায় হেরে গিয়ে আত্মঘাতী হন দু’জনে।