কাজে দিল না—মাকে বাঁচানোর আকুল আর্তি। অবশেষে মারা গেলেন আগ্রার উপাধ্যায় হাসপাতালে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর সেই যুবকের মা। ওই হাসপাতাল থেকে অক্সিজেনের সিলিন্ডার তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। তার দু’ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর।
হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন মহিলা। মায়ের চিকিৎসার জন্য কোনওমতে একটা অক্সিজেনের সিলিন্ডার যোগাড় করেছিল তাঁর ছেলে। অভিযোগ, সেই সিলিন্ডার তুলে নিয়ে যায় আগ্রা পুলিশ। সিলিন্ডার ফিরিয়ে দেওয়ার ওই যুবকের করুণ আর্তিতেও মন ভেজেনি পুলিশকর্মীদের।
আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে মায়ের প্রাণভিক্ষা চাইলেও তাতে কর্ণপাত করেনি পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, জোর করে অক্সিজেন সিলিন্ডারটি তুলে নিয়ে যায় তারা।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।(যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। তাতে দেখা যায়, ‘মা’ কে বাঁচাতে পুলিশের পায়ে পড়ছেন অসহায় এক ছেলে। এমনকী, হাত জোড় করে মায়ের প্রাণভিক্ষা চাইছেন পুলিশের কাছে। যাতে অক্সিজেনের সিলিন্ডারটি ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
উত্তরপ্রদেশে আগ্রায় ঘটা এই ঘটনায় কেঁপে উঠে গোটা দেশ। মন ভিজিয়ে দেওয়া এই ভিডিও মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়।
কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ওই ব্যক্তি তাঁর মায়ের জন্য যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেছিলেন, সেটি যাতে কেড়ে না—নেওয়া হয়, সেজন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। অবশ্য পুলিশ পাল্টা দাবি করে, আগ্রার উপাধ্যায় হাসপাতাল থেকে যখন খালি সিলিন্ডারটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন ওই যুবক নতুন অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, পরনে পিপিই কিট পরা এক যুবক। ছুটে এসে কাঁদতে কাঁদতে তিনি পুলিশের সামনেই হাটু গেড়ে বসে পড়েন। দু’হাত জোড় করে মাথা নুইয়ে তাঁর আকুল আর্তি, ‘আপকে চরণো মে বিনতি করতা হুঁ, ভইয়া মেরি মা কো বচা লো’(আপনার পায়ে পড়ে মিনতি করছি দাদা, আমার মাকে বাঁচান)। মাটিতে প্রায় শুয়ে পড়া ওই ব্যক্তিকে সম্ভবত তাঁর কোনও আত্মীয় টেনে তোলেন। তাঁকেও বলতে শোনা যায় ‘এদের কাছে বলে কিছু হবে না, অহেতুক মানুষের প্রাণ নিচ্ছে!’ যখন এই ঘটনাটি ঘটছে ঠিক সেই সময়ই তাঁদের পাশ থেকে অন্য দু’জন ব্যক্তিকে সিলিন্ডার বয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।