স্বামীকে ছুরি মেরে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। কর্ণাটক হাইকোর্ট এব্যাপারে মহিলাকে জামিন দিতে অস্বীকার করে। আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি মহিলা বলে তাঁকে জামিন দিতে হবে এটা হতে পারে না।
ওই মহিলার বিরুদ্ধে স্বামীকে খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল। জামিন চেয়েছিলেন তিনি। তবে বিচারপতি মহম্মদ নওয়াজ জামিন দিতে অস্বীকার করেন। অপরাধের গুরুত্বের কথা বিচার করেই তিনি জামিন দিতে চাননি।
এদিকে মহিলার আইনজীবী আদালতে আবেদনে জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত মহিলা সেই সেপ্টেম্বর মাস থেকে জেল খাটছেন। তিনি মহিলা। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। তবে আদালত জানিয়েছে, কেবলমাত্র এই গ্রাউন্ড দেখিয়ে কাউকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, আদালত জানিয়েছে, এই পর্যায়ে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে একট মামলা রয়েছে। যে অপরাধ করা হয়েছে তা ভয়াবহ। তবে তিনি মহিলা বলেই তিনি জামিন পেয়ে যাবেন এটা হতে পারে না।
এদিকে সূত্রের খবর, ওই মহিলা ও তার প্রেমিক ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। ওই অবৈধ সম্পর্কের মাঝে যাতে স্বামী বাধা দিতে না পারেন সেকারণে তাকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল। তার জেরেই এই খুন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
তবে আদালত জানিয়েছে, ওই মহিলাকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তার স্বামী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সময় তাকে ছুরি মেরে খুন করা হয়। এরপর মহিলা নিজের শরীরেও ছুরি চালান। ডাকাতি করতে এসে খুন করা হয়েছে এটা প্রমাণ করার জন্য তিনি এই ছক কষেছিলেন বলে অভিযোগ।
এরপর বাড়ির মালিকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। সেই মতো দেখা যায়, ওই মহিলা আর তার প্রেমিক গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
এদিকে জামিন নাকচ করার সময় আদালত মহিলার ছেলের বক্তব্যকেও তুলে ধরে। তার ছেলে জানিয়েছিল, বাবার সঙ্গে মায়ের প্রবল ঝগড়া হয়েছিল। এরপর সকালে উঠে ছেলে দেখে তার বাবা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তার শরীরে ছুরির আঘাত রয়েছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা এলাকা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ নানা সূত্রের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করে।