আইফোনের অর্ডার করেছিলেন এক যুবক। কিন্তু তিনি সেই ফোনের টাকা মেটাতে পারেননি। তার বদলে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণ ই-কার্ট ডেলিভারি বয়কেই ছুরি দিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। কর্নাটকের হাসান এলাকার ঘটনা। এরপর ওই যুবক তিনদিন ধরে সেই দেহকে বাড়িতে রেখে দেয়। পুড়িয়ে দেওয়ার আগে তার দেহ রেখে দেওয়া হয়েছিল বাড়িতে। অভিযুক্তের নাম হেমন্ত দত্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, অনলাইনে একটি আই ফোনের অর্ডার করেছিল হেমন্ত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সেটি দিতে আসে ডেলিভারি বয়। এদিকে যাকে খুন করা হয়েছে তার নাম হেমন্ত নায়েক।
একের পর এক তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তার। পুলিশ সূত্রে খবর, নায়ের হেমন্ত দত্তের বাড়িতে গিয়েছিলেন। আই ফোনটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য়ই তিনি গিয়েছিলেন। সেটি সেকেন্ড হ্য়ান্ড ফোন ছিল। এদিকে অভিযুক্ত নায়েককে বলে বাড়ির ভেতরে বসার জন্য। তারপর সে জানায় ঘর থেকে টাকা নিয়ে আসছি। এরপর সে ঘর থেকে ছুরি নিয়ে আসে। তারপর তাকে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। একেবারে হাড়হিম ঘটনা। পরপর ছুরির আঘাত। তার জেরেই লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক। রক্তে ভেসে যায় ঘর। তবে তারপর অন্য অপারেশনে নামে হেমন্ত।
এরপর ওই ডেলিভারি বয়ের দেহ সে বস্তায় পুড়ে ফেলে। তারপর তিনদিন সে ওই ডেলিভারি বয়ের দেহ বেঁধে রেখে দেয় ঘরের মধ্য়েই। এদিকে সে ছক কষেছিল শহরের বাইরে কোথাও সে দেহটি পুড়িয়ে ফেলবে।সেই মতো সে কাজ শুরু করে দেয়।
এরপর সে পেট্রলও কিনে ফেলেছিল। তারপর দেহটিকে সে বাইকে চাপিয়ে নিয়ে যায় স্থানীয় স্টেশনের কাছে। সেখানেই নির্জন জায়গায় সে দেহটিতে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখানে দেখা যায় সে পেট্রল পাম্প থেকে পেট্রল কিনছে। আবার বাইকে বডি চাপিয়ে সে নিয়ে যাচ্ছে। এটা দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই জেরা শুরু করেছে ওই অভিযুক্ত তরুণকে। কেন সে এভাবে ডেলিভারি বয়কে খুন করল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে হয়তো সে আই ফোনের টাকা দিতে পারত না। সেকারণেই সে আইফোনটি পাওয়ার জন্য এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।