রাজস্থানে ফের অমানুষিক অত্যাচারের নমুনা মিলল। মোবাইল চুরির অভিযোগে, এক মুসলিম তরুণের পায়ুদ্বারে লোহার রড ঢোকানোর পাশাপাশি তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তিন জনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারমের থানায় এক ব্যক্তি ২৯ জানুয়ারির এই ঘটনার জেরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, ওই দিন তাঁর ভাই বারমের জেলার তিরসিঙ্গাদি গ্রামের বাসিন্দা বছর বাইশের এক তরুণকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে বেধড়ক মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর পায়ুদ্বারে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ, প্রথমে নিগৃহীতকে অপহরণ করে তিন স্থানীয় বাসিন্দা। তারপরে তাঁকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধর ও অবাধে নির্যাতন চালানো হয়।
প্রায় একমাস আগে ঘটনা ঘটলেও বাড়িতে ফিরে কাউকে কিছু জানাননি নিগৃহীত। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া ঘটনার দৃশ্য প্রকাশ পাওয়ার পরে তাঁর পরিবারের সকলে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ জানায়।
বারমের (গ্রামীণ) থানার প্রধান আধিকারিক দীপ সিং অভিযোগের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তার ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শহরের বাইরে থাকায় নিগৃহীতের বয়ান নথিভুক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দীপ সিং জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া ঘুরে বেড়ানো ভিডিওটি তাঁদের হাতে এসেছে। তবে মারধরের দৃশ্য থাকলেও নিগৃহীতের পায়ুদ্বারে লোহার রড ঢোকানোর দৃশ্য ওই মোবাই ভিডিয়ো ফুটেজে পাওয়া যায়নি। তবে ভিডিয়োতে তিন ্ভিযুক্ত নিগৃহীতকে মারধর করছে বলে দেখা গিয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেরা করা হচ্ছে। পুলিশকে তারা জানিয়েছে, নিগৃহীত তাদের মোবাইল ফোন চুরি করেছিল বলেই তাকে মারধর করা হয়। তবে তাঁর শরীরে লোহার রড ঢোকানোর কথা তারা অস্বীকার করেছে।’
পুলিশের দাবি, নিগৃহীতের বয়ান নথিভুক্ত করার পরে পুর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রথম দফায় ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজস্থানে এক দলিত তরুণের পায়ুদ্বারে স্ক্রুড্রাইভার ঢোকানোর অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।