রাজ্যের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে মুসলিমদের ভাগ রাজ্যের জনসংখ্যার চেয়ে অনেক গুন বেশি। রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই তথ্যই জানিয়েছেন। আর তাতেই ফের হিন্দু–মুসলিম বিভেদ ফুটে উঠল বলে মনে করছেন গো–বলয়ের রাজনৈতিক কুশীলবরা। তারপরেই এখানে তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার বৈষম্য ছাড়াই সমস্ত মানুষকে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে। এই মন্তব্য নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিন রাজ্য বাজেট অধিবেশনে চলা বিতর্কের সময় হস্তক্ষেপ করে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, আগের সরকারগুলি কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করতে ‘বাছা এবং তোলা’ নীতি ব্যবহার করেছিল, আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ মন্ত্রের প্রতি তাঁর সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল। তিনি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে মুসলিম জনসংখ্যা ১৭ থেকে ১৯ শতাংশ। তবে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধার ক্ষেত্রে তাদের অংশ ৩০–৩৫ শতাংশ।’ তিনি বিরোধী দলনেতা আহমেদ হাসানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বর্ণ, ধর্ম, অঞ্চল ও ভাষার ভিত্তিতে কোনও বৈষম্য ছিল না। এটাকে আমরা মোদী মডেল বলি।’
মুখ্যমন্ত্রী সমাজবাদী পার্টিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, ‘সমজতন্ত্র যাঁরা দেখিয়েছিলেন–আচার্য নরেন্দ্র দেব, জয় প্রকাশ নারায়ণ ও রাম মনোহর লোহিয়াদের আদর্শ আজকের এসপি নেতার কাছে হারিয়ে গিয়েছে। আজকের সমাজতন্ত্র বহুবিধ ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে জাতি, বর্ণের সমাজতন্ত্র, পরিবারের সমাজতন্ত্র। আর তা শিবপাল যাদবের কাছে সমাজতন্ত্র আসার সঙ্গে সঙ্গে এটি প্রগতিশীল হয়ে ওঠে।’