হু হু করে বাড়ছে কৃষ্ণা নদীর জলস্তর। বিপদের আশঙ্কায় অমরাবতীর বাংলো ছাড়ার জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে নোটিশ পাঠাল জেলা প্রশাসন।
রবিবার রাতে অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের গেটে নোটিশ সেঁটে দিয়ে আসেন কৃষ্ণা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। এই নিয়ে পর পর দুই বছর কৃষ্ণা নদীতে জলোচ্ছ্বাসের কারণে চন্দ্রবাবুকে তাঁর বাংলো ছাড়তে হচ্ছে।
শুধু নাইডুই নন, কৃষ্ণা নগীর তীরবর্তী আরও ৩২টি বাড়ি ও জমিকে বন্যার আশঙ্কায় বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। প্রতিটি সনম্পত্তির মালিককেই ধরানো হয়েছে নোটিশ।
জেলা ত্রাণ কমিশনার কান্না বাবু জানিয়েছেন, বিজয়ওয়াড়ার প্রকাশম বাঁধ থেকে প্রায় ৬ কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার জেরে প্লাবিত হবে বাঁধ থেকে দুই কিমি পর্যন্ত দূরত্বে থাকা কৃষ্ণার তীরবর্তী অঞ্চল।
চন্দ্রবাবু নাইডু অবশ্য নোটিশ পাওয়ার আগে গত শুক্রবারই সপরিবারে হায়দরাবাদ সফরে গিয়েছেন। অমরাবতীর বাংলোটি প্রথমে অতিথি নিবাস হিসেবে নির্মাণ করেছিলেন অন্ধ্র প্রদেশের বিখ্যাত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী লিঙ্গামানেনি রমেশ। তিনি নাইডুকে বাংলোটি পরে লিজে দেন। ২০১৫ সাল থেকে এখানেই পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন টিডিকে প্রধান।
২০১৯ সালে অবৈধ নির্মাণের জন্য নির্মাতা রমেশকে নোটিশ পাঠায় অন্ধ্র প্রদেশের জগন মোহন রেড্ডি সরকার। নদীর তীরের ১০০ মিটারের মধ্যে নির্মাণ অবৈধ বলে নোটিশে জানানো হয়। সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা করার ফলে এখনও পর্যন্ত অমরাবতীর বাংলো ভাঙার নির্দেশ এড়ানো গিয়েছে।