মণিপুরের ওই ভিডিয়ো কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। গণধর্ষণের পরে নগ্ন অবস্থায় প্রকাশ্য়ে রাস্তায় দুই মহিলাকে হাঁটানোর অভিযোগ। এই ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। ওই নির্যাতিতার মধ্য়ে একজনের সঙ্গে কথা বলেছিল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ জনতার মধ্যে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
অভিযোগে তাঁরা জানিয়েছেন, আশ্রয় নেওয়ার জন্য় তাঁরা জঙ্গলে চলে গিয়েছিলেন। পরে থউবল পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় থানা থেকে প্রায় দু কিমি আগে জনতা তাদের আটকায়। এরপর পুলিশের কাছ থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ২০ বছর বয়সি ওই মহিলা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, জনতার সঙ্গে পুলিশও ছিল। তারাই গ্রামে হামলা চালিয়েছিল। পুলিশ আমাদের নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় ওরা হামলা চালাল। গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে পুলিশ আমাদের নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় জনতার মধ্য়ে আমাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। পুলিশই আমাদের ওদের হাতে তুলে দিল।
তিনি জানিয়েছেন, আমাদের লোকজনকে খুন করল। আমাদের উপর অত্যাচার! এরপর সেখানে ফেলে রেখে দিল। আমরা কোনওরকমে পালিয়ে আসি। তবে সেই ঘটনার যে ভিডিয়ো তোলা হচ্ছে তা তারা জানতেন না। তবে সেই ভিডিয়ো কার্যত গোটা বিশ্বের সামনে দেশের মাথা হেঁট করে দিয়েছে।
এদিকে দাবি করা হচ্ছে ভুয়ো খবরের ভিত্তিতে মণিপুরে হিংসা ক্রমশ ছড়িয়েছিল। চূড়াচন্দনপুর এলাকায় এক মহিলার দেহ প্লাস্টিক ব্যাগে ভরা রয়েছে বলে খবর ছড়িয়েছিল। বলা হচ্ছিল কুকিরা মৈতেয়ী মহিলাকে খুন করেছে। ৩ মে সংঘর্ষের ঘটনার কয়েকদিন পরেই এই ছবি ছড়িয়ে পড়়েছিল। পরে দেখা যায় আসলে ওটা দিল্লির আয়ুষি চৌধুরীর ছবি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তাঁর অভিভাবকরা তাকে খুন করেছিল। এর সঙ্গে মণিপুরের ঘটনার কোনও যোগ নেই। কিন্তু হিংসায় উসকানি দেওয়ার জন্য এভাবেই ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছিল। তারপর থেকেই সংঘর্ষ চরম আকার নেই। দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদন অনুসারে এমনটাই জানা গিয়েছে।
এবার সামনে এসেছে ভয়াবহ ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে নগ্ন অবস্থায় ছোটানো হচ্ছে দুই মহিলাকে। তবে ভুয়ো খবরকে কেন্দ্র করে ধর্ষণ করা হয়েছিল দুই মহিলাকে।কার্যত বদলা নেওয়ার জন্য় এটা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কীসের বদলা? যে দেহের ছবিকে কেন্দ্র করে এত কিছু সেই খবরই তো ভুয়ো।