২০২৩ সালে একাধিক রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। সামনেই ভোট রয়েছে কর্ণাটকেও। আর সেই ভোটমুখী কর্ণাটকের কালবুর্গী ও ইয়াদগিরিতে সদ্য একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মোদী। এদিন যেমন একাধিক প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি তা তুলে দেন কর্ণাটক সরকারের হাতে, তেমনই বহু প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে প্রকল্পের উদ্বোধনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী কী বলেছেন, দেখা যাক।
মোদী বলেন, ‘আমাদের পার্টির উদ্দেশ্য কোনও ভোটব্যাঙ্ক নয়, শুধুই উন্নয়ন। আমরা বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নকেই বেশি উৎসাহ দিয়ে থাকি, যে জায়গাগুলিকে আগের সরকার অনুন্নত জায়গা বলে ঘোষণা করেছে। ইয়াদগিরি থেকে আকাঙ্খী জেলা প্রোগ্রাম শুরু করেছে। দেশের ১০০ টির বেশি শহরে আমরা ভালো প্রশাসনিক কাজে ফোকাস করছি। ’
সীমান্ত ও উপকূলবর্তী এলাকায় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জল সংক্রান্ত সমস্যার ইতি টানতে হবে, বলে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ‘আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার সেই লক্ষ্যেই করে চলেছে কাজ।’ তিনি বলেন, যাতে দেশে সুবিধা আসে ও বিভিন্ন জিনিসকে সংরক্ষণ করা যায়, তার লক্ষ্যে তাঁর সরকার কাজ করছে। এছাড়াও জলসমস্যা নিয়েও তিনি মুখ খোলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩.৫ বছর আগে তাঁর সরকার শুরু করেছিল, 'জল জীবন মিশন'। তিনি বলেন, মোট ১৮ কোটি গ্রামীণ বাড়ির মধ্যে ৩ কোটি বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এও বলেন যে, ১১ কোটি গ্রামীণ বাড়িতে কলের জলের সংযোগ দেওয়া জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র সেচের আওতায় গত ৬ থেকে ৭ বছরে দেশের ৭০ লাখ হেক্টর জমিকে আনা হয়েছে। সেচের বন্দোবস্ত আরও ভালো করার দিকে দেশ এগোচ্ছে বলেও স্পষ্ট বার্তা দেন মোদী। প্রসঙ্গত,কর্ণাটকের বিভিন্ন এলাকায় গরমের দিনে সমস্যা গুরুতর হয়। সেই সময় সেচের জল পাওয়া মুশকিল হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার মানে ডবল-উপকার। আর সেইভাবেই কর্ণাটক এগোচ্ছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপির সরকারের থাকার বার্তা আরও জোরালো করে মোদী বলছেন, ‘কেন্দ্র যেমন পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় ৬০০০ টাকা দিচ্ছে কৃষকদের দিচ্ছে, তেমনই রাজ্য সরকার তাতে ৪ হাজার আরও টাকা জুড়ে দিচ্ছে। ’