সপ্তর্ষি দাস
গরুকে কি জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করার চেষ্টা করা হচ্ছে? এবার এনিয়ে একেবারে সংসদে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি। তিনি সংসদে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, আমাদের জাতীয় পশুর নাম বাঘ। সেক্ষেত্রে গরুকে জাতীয় পশু হিসাবে গণ্য করার কোনও অভিপ্রায় কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। সোমবার সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।
বিজেপি এমপি ভগীরথ চৌধুরী সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন, গোমাতাকে জাতীয় পশু হিসাবে গণ্য করার কোনও পরিকল্পনা কি সরকারের আছে? কারণ হল গরু হল ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সেক্ষেত্রে জাতীয় পশু হিসাবে গণ্য করা হলে গরুকে রক্ষা করাটা আরও সহজ হত। সনাতন সংস্কৃতিকেও রক্ষা করা যেত।
তবে সেই প্রশ্নের উত্তরে রেড্ডি জানিয়েছেন, ভারত সরকার জাতীয় পশু হিসাবে গরু ও জাতীয় পাখি হিসাবে ময়ুরের নাম ঘোষণা করেছে। এই দুটি পশুপাখিকে সিডিউলড ১ অ্যানিম্যাল অফ দ্য ওয়াইল্ড লাইফ( প্রটেকশন) অ্য়াক্ট ১৯৭২ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ২০১১ সালের ৩০ মে ভারত সরকার জাতীয় পশু হিসাবে বাঘ ও জাতীয় পাখি হিসাবে ময়ুরকে ফের নোটিফাই করেছে। অন্যদিকে অপর একটি ক্ষেত্রে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এলাহাবাদ হাইকোর্ট ও জয়পুর হাইকোর্ট কি গোমাতাকে জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে কোনও নির্দেশ দিয়েছিল? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের উপর নির্ভর করছে।
অন্যদিকে তিনি জানিয়েছেন, প্রাণীকল্যাণ দফতর রাষ্ট্রীয় গোকূল মিশন চালু করেছে। এর মাধ্যমে গরুর মধ্যে যদি কোনও বিপন্ন প্রজাতি থাকে তবে তাকে সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই বিপন্ন প্রজাতির গরু যাতে হারিয়ে না যায়, তাদেরকে যাতে মেরে ফেলা না হয় সেটাও দেখছে। এই দফতরের উদ্যোগে প্রাণীকল্যাণ বোর্ডও তৈরি হয়েছে। সেই বোর্ড মূলত গরু সহ অন্যান্য পশুদের সুরক্ষার দিকটা নিশ্চিত করে।