মঞ্জিরী চিত্রে
সোমবার নিঠারি হত্যা মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট সুরেন্দ্র কোলি ও মনিন্দর সিং পান্ধারকে বেকসুর হিসাবে ঘোষণা করেছে। প্রমাণের অভাবে তাদের খালাস করা হয়েছে। তাদের মৃত্য়ুদণ্ডও রদ করা হয়েছে।
পান্ধারের আইনজীবী মণীষা ভান্ডারি এএনআইকে জানিয়েছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট দুটি মামলা থেকে পান্ধারকে রেহাই দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৬টা মামলা ছিল। কোলিকে সব মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।
এবার সেই পুরানো মামলাটি একবার দেখে নেওয়া যাক…
১. সুরেন্দর কোলি মনিন্দর সিংয়ের বাড়িতে গৃহ সহায়ক হিসাবে কাজ করত। তারা নয়ডার বাড়িতে শিশু ও মহিলাদের ধর্ষণ করে খুন করে দেহ লোপাট করত বলে অভিযোগ।
২. ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তাদের বাড়ির কাছের একটি ড্রেনে শিশুদের কঙ্কাল মেলে। এরপর মাটি খুঁড়ে আরও কঙ্কাল পাওয়া যায়।
৩. তদন্তে নামে সিবিআই। কোলি ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছিল।
৪. খুন, ধর্ষণ, দেহ লোপাট করা সহ অন্তত ১৯টা মামলা করা হয়। সিবিআই উপযুক্ত তথ্য় প্রমাণের অভাবে ১৯টি মামলার মধ্য়ে তিনটি মামলা বন্ধ করে দিয়েছিল।
৫. একাধিক শিশু মিসিং হয়ে যাওয়ার পরেও পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুজন পুলিশকে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল।
২০০৬ সালে নিঠারি গ্রামের একটি নিকাশি নালায় কিছু কঙ্কাল মেলে। পরে কোলি পুলিশের কাছে জানায় কাছের জমিতে খুঁড়লে আরও দেহ মিলবে। এরপর সিবিআইয়ের কাছে তদন্তভার যায়।সুরিন্দর কোলির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিবিআই। পান্ধারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণ, খুন, দেহ লোপাটের অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার রেহাই মিলল কোলির।
অন্যদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। যেভাবে সাধারণ নমুনাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, মানব দেহের অঙ্গ নিয়ে ব্যবসা করার ছক রয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছিল তা প্রমাণ করা যায়নি।